মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলের নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. মানিকুর রহমানের বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৪ আগস্ট ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে তথ্য প্রমাণ যাচাই করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী। যাচাই বাছাইতে ভুক্তভোগীর দাখিল করা কাগজ-পত্রে প্রমাণিত হয় ইউপি সচিব মো. মানিকুর রহমান জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য ২ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
ভুক্তভোগী প্রবাসী এইচ এম হান্নান ও তার স্ত্রী রিমা আক্তার জানান, গত ৭ আগস্ট তাদের দুই কন্যা এইচ এম রাইসা হান্নান ও এইচ এম রাফিয়া হান্নানের জন্ম নিবন্ধন সনদে মায়ের নাম সংশোধনের জন্য নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. মানিকুর রহমানের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা দেন। এসময় নাম সংশোধনের জন্য ইউপি সচিব ২ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এরপরে বিকাশের মাধ্যমে ইউপি সচিবকে ১ হাজার টাকা দেয়া হলেও তিনি কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তী ফের বিকাশের মাধ্যমে তাকে আরো ১ হাজার ২০ টাকা দিতে বাধ্য হয় ঐ দম্পতি।
অভিযোগ অস্বীকার করে নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. মানিকুর রহমান জানান, তিনি ওই জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করেন নাই এবং কোনো টাকা নেন নাই। তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী বলেন, ‘আমি অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক মহোদয়কে পাঠিয়েছি। জেলা প্রশাসক মহোদয় এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নূর কুতুবুল আলম জানান, ‘তথ্য প্রমাণ অনুযায়ী এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’