মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে পিতার সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তার ১৩ বছরের শিশু সন্তানকে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে খান মোঃ নওতাজ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের শান্ত গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী শিশু বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা আব্দুর রহিম গাজী পেশায় একজন দিনমজুর।
এঘটনায় বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিশু মো. সাইদুল ইসলামের (১৩) মা মোসা. রেহেনা বেগম।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিশু শিক্ষার্থী সাইদুলের পরিবারের সাথে অভিযুক্ত খান মো. নওতাজের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। সোমবার সন্ধ্যায় মায়ের জন্য ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে শিশু সাইদুলের পথ রোধ করেন নওতাজ। এরপরে সাইদুলকে কয়েকটি চড় থাপ্পড় মারে অভিযুক্ত। পরবর্তীতে সাইদুলকে আটকে রেখে তাকে দিয়ে তার বাবা রহিমকে ফোন করানো হয়। তিনি আসলে শিশু শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দিবে বলে জানাতে বলেন নওতাজ। ঘটনাটি শিশুর বাবা তার মাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী শিশুর মা রেহেনা বেগম বলেন, আমার পোলার দোষ কি? ওরে আটকাইয়া নির্যাতন করা হইলো ক্যা। আমরা বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খান মো. নওতাজ বলেন, আমাদের বাড়ির টিউবওয়েল ও আমার পোষা কবুতর চুরি করেছে সাইদুল। সেটা জিজ্ঞেস করার জন্য ডাকলে সাইদুল তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ কারণে তিনি সাইদুলকে একটি চড় মারেন। বাকি অন্যান্য সকল অভিযোগ মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।