হাফিজুর রহমান কাজল, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নান্দবার গ্রামে বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন সাথী খাতুন (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রী।
শুক্রবার (০১ নভেম্বর) বিকেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান সাঈদ আমাদের প্রতিনিধিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সাথী খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের নান্দবার গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মালেশিয়া প্রবাসী সজিবর রহমানের মেয়ে।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন যাবত স্মার্টফোন কিনে দেয়ার জন্য আবদার করতে থাকে। গত মঙ্গলবার আবারো স্মার্টফোন কিনে দেবার জন্য জোরাজোরি করতে থাকে। যেন ওইদিনই তাকে স্মার্টফোন কিনে দেয়া হয়। মেয়ের আবদারে সাথীর বাবা জানায়, এখন তার হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই। সামনের মাসে বেতন পেলেই মেয়েকে স্মার্টফোন কিনে দেবেন৷ তবুও সাথীর মন গলেনি।
পরিবারের সদস্যরা আরও জানায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে সবার অগোচরে বাড়িতে থাকা ঘাষপোড়া বিষপান করে সাথী৷ অসুস্থ হলে পড়লে পরিবারের সদস্যরা বিষপানের বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত সাথীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক তার পাকস্থলী ওয়াশ করে ভর্তি করেন। পরদিন সাথী খাতুনকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে মারা যায়।
ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান সাঈদ আমাদের এ প্রতিনিধিকে বলেন, স্মার্টফোন কিনে না দেয়ায় বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে স্কুলছাত্রী সাথী খাতুন। গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব জানাযার নামায শেষে স্থানীয় করবস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, অভিযোগ না থাকায় অবেদনের পেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।