ঢাকাThursday , 16 November 2023
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. চাকুরী
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • বিজ্ঞাপন

    বিজ্ঞাপন

  • বিএনপি জামাতের ছায়াশক্তি কর্মসূচি নিয়ে সাধারণ মানুষেরা যা বলছে !

    দেশ চ্যানেল
    November 16, 2023 9:48 am
    Link Copied!

    বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:

    দেশের অন্যতম দুই বিরোধী দল বিএনপি ও জামাত সরকারের বিভিন্ন ইস্যু ধরে ছায়া শক্তি নিয়ে ভার্চুয়ালিতে একের পর এক আন্দোলন ডেকে যাচ্ছে আর দেশের সাধারণ জনগণ তা বারবার প্রত্যাখ্যান করছে।
    আর বিরোধী দলের এই আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই গতকাল আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তাফসিল ঘোষণা করেন সিইসির প্রধান কাজী হাবিবুল আউয়াল।
    আর এই সাংবিধানিক রাষ্ট্রীয় নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে অবমাননা করে বিরোধী দল বিএনপির অন্যতম নেতা রুহুল কবির রিজভী এক ছায়া শক্তিরূপে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ভার্চুয়ালিতে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন এটানাকি রাষ্ট্রীয়ভাবে তামাশার খেলা।
    তবে গতকাল ১৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তাফসিল ঘোষণার কথা পূর্বের থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানানো হয়েছিল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে।
    তারপর থেকে বিভিন্ন পন্থায় বিএনপি সাথে জামাত ও অন্যান্য বিরোধী কিছু রাজনৈতিক দল একত্বতা হয়ে বলেছিল দেশে তামাশা পূর্ণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে দেওয়া হবে না।
    তফসিল ঘোষণার আগে দেশ অচল করে দেওয়ার আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিল তারা।
    অথচ চলমান দেশ-জুড়ে সর্বাত্মক ৪৮ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচি ।
    আর এই চলমান কর্মসূচির মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন সিইসি।
    তবে সিইসি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ সারাদেশব্যাপী বিএনপি জামাতের ঝটিকা কিছু মিছিল লক্ষ্য করা গিয়েছিল রাত ৮ টার দিকে।
    তবে আজ বিরোধীদলের তেমন কোন তৎপরতা নাই কিন্তুু নগরজুড়ে থমথমে ভাব বিরাজ করলেও সাধারণ জনমনে রয়েছে অন্য প্রতিক্রিয়া।
    নির্বাচনী তাফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচনের বিষয়ে খুলনা নগরীর বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার জনগণের মতামত জানার চেষ্টা করলে সাধারন জনগণ তাদের মত ব্যক্ত করে বলেন নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক অবকাঠামো।
    আর এই গণতান্ত্রিক অবকাঠামোকে সঠিক অবস্থানে রাখার লক্ষ্যে দেশে অপরাজনীতি ও সহিংসতা না করে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করা উচিত । তা না করে ছায়া শক্তির রূপের পালিয়ে থেকে লুকিয়ে থেকে বিভিন্ন কৌশলে একের পর এক বিএনপি ও জামাত কর্তৃক হরতাল অবরোধ দিয়ে সাধারণ জনগণদের ভোগান্তির মধ্য ফেলছে।
    আর এর প্রভাব পড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারদর থেকে শুরু করে নিন্মও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের জীবনযাত্রার ওপর।
    উল্লেখ্য গতকাল তাফসিল ঘোষণার কিছু সময় আগে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্র থেকে জানতে পারাজায় বিরোধীদল বিএনপি ও জামাত ইসলাম আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর সর্বাত্মক ৪৮ ঘন্টার হরতাল কর্মসূচি পালন করবে।
    এক্ষেত্রে সাধারণ জনমত থেকে আরো বলে ১৫ বছর ক্ষমতা চালানো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সরকারকে কোনো রকম তারা আন্দোলন করে টলাতে না পেরে একেবারে নির্বাচনমুখী শেষ মুহূর্তে এসে অবরোধ হরতালের নামে দেশে নৈরাজ্য জ্বালাও পোড়াও মানুষ খুনের মত জঘন্য রাজনীতিতে মেতে উঠে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস সহ বিএনপি জামাত দলীয় কতিপয় কিছু টুকাই শ্রেণীর কর্মী কর্তৃক অসংখ্য যানবাহনে অগ্নিকাণ্ড ঘটাচ্ছে যা এ দেশেরই সম্পদ এদেশেরই সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত অর্থে উপার্জিত।
    তাই এই সংঘাত দেশের সাধারণ মানুষেরা মোটেও আশা করেনা। দেশে নির্বাচনের সময় এসেছে নির্বাচন হবে।
    নির্বাচনে সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলে রাখবে।
    বিরোধী দল ক্ষমতায় আসলে আসবে। তবে নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরে দেশের একটি স্থিতিশীল অবস্থা পরিণত হবে এটাই আমরা আশা করি।
    আর এই নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দেশে কোন স্থিতিশীল আসবে বলে দেশের সর্বসাধারণের মনে অন্য কোন ভাবনা আসছে না।
    গতকাল নির্বাচন কমিশনারের প্রধান বিভিন্ন গণমাধ্যম সহ
    বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন।
    জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ কালে ইসির প্রধান কর্তা সকল বিরোধী দলকে স্বতস্পূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন পারস্পরিক প্রতিহিংসা অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অসাধ্য নয় বলে মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
    তিনি এ সময় আরো বলেন পরমতসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক আস্তা, সহনশীলতা ও সহমর্মিতা টেকসই ও স্থিতিশীল গণতন্ত্রের জন্য আবশ্যকীয় নিয়ামক।
    তাছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রতিটি বিরোধী দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক ভূমিকা।
    আর তারই লক্ষে অবাধ নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য কাঙ্খিত অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন প্রশ্নের বিশেষত নির্বাচনের প্রতিষ্ঠানিক পদ্ধতির প্রশ্নের দীর্ঘ সময় ধরে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব মতভেদ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
    দেশে বহুদলীয় রাজনীতিতে মতাদর্শগত বিভাজন থাকতেই পারে তবে তা থেকে সংঘাত ও সহিংসতা সৃষ্টি ও অস্তিত্বশীলতা নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
    আর এর জন্য মতৈক্য ও সমাধান অতীব প্রয়োজন।
    ইসির প্রধানের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এসব কথার পরিপ্রেক্ষিতে সকল শ্রেণীর সাধারণ মানুষেরা বলেছে এই মুহূর্তে নির্বাচন অতি জরুরি প্রয়োজন।
    তা না হলে দেশে স্থিতিশীলতা কোনক্রমে ফিরে আসবেনা কারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে যত অস্তিত্বশীলতা ও অপরাজনীতি ধ্বংসলীলা চলছে আর এতে করে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা যাতা কলে পিষ্ট হচ্ছে।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST