মাসুদ মীর। বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটে প্রবাসীর বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে সাত লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রবাসী সাজ্জাদ মোল্লা (৪৫) দুই ভুক্তভোগীকে বিদেশে না পাঠিয়ে সম্পূর্ন টাকা আত্মসাত করে বিদেশে চম্পট দিয়েছেন। এ ঘটনার মধ্যস্থতাকারী এস এম মিদুল চরম হয়রানির মধ্যে পড়েছেন বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত প্রবাসী সাজ্জাদ মোল্লা বাগেরহাট সদর উপজেলার আফরা গ্রামের মৃতঃ কুদ্দুস মোল্লার ছেলে।
অভিযোগে এস এম মিদুল জানান, ২০১৬ সালে বাগেরহাট সদর উপজেলার হাড়িখালি গ্রামের আমার ভাগ্নে হাসান ওরফে অপু ও ভাতিজা মাহফুজুর রহমান বাবু আমাকে বিদেশে যাওয়ার কথা বলে। মালয়েশিয়া প্রবাসী সদর উপজেলার আফরা গ্রামের সাজ্জাদ মোল্লা ও তার ভাই রাজীব মোল্লা বিভিন্ন সময় প্রবাসে লোক পাঠায়। আমি বিষয়টি ভাগ্নে ও ভাইপোকে জানালে তারা সাজ্জাদ মোল্লার মাধ্যমে বিদেশে যেতে রাজি হয়। পরবর্তিতে আমার উপস্থিতিতে তারা সাজ্জাত মোল্লাকে ৭ লক্ষ টাকা প্রদান করে। তারা আমার ভাইপো ও ভাগ্নেকে মালয়েশিয়া না পাঠিয়ে দিনের পর দিন কালক্ষেপন করে সকলের অগোচরে দেশ ত্যাগ করে। পরবর্তীতে আমার ভাগ্নে হাসান ওরফে অপু আমাকে ভূল বুঝিয়া মিথ্যা হয়রানি করার উদ্দেশ্যে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করে।
তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে সাজ্জাদ মোল্লা বিদেশ থেকে দেশে আসার খবর পেয়ে স্থানীয়দের নিয়ে আমি সাজ্জাদ মোল্লার বাড়িতে যাই। সবার সম্মূখে টাকা ফেরত চাইলে সাজ্জাদ মোল্লা ৭ লক্ষ টাকাই পরিশোধ করে দিবে এক মাস সময় চায়। মাস অতিক্রম হলেও কোন টাকা পরিশোধ না করলে বিষয়টি স্থানীয় যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে জানাই। ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদকে ডাকলে সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী উপস্থিত হয়ে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে ও ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করবে বলে সময় নেন। কিন্তু প্রতারনা করে সে আবারো সকলের অগোচরে বিদেশে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান বেগ এমদাদুল হক বাচ্চু বলেন, সাজ্জাদ ও তার পরিবার একটি প্রতারক পরিবার। তারা বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রতারনার মাধ্যমে সাধারন মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন মিদুলের দুই আত্মীয়ের নিকট থেকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে টাকা নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। টাকা দেওয়ার কথা বলে সময় নিয়েও কোন টাকা পরিশোধ না করে পালিয়ে বিদেশে চলে গেছে। এ ধরনের প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া জরুরি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানার এস আই মোঃ সোহেল জানান, সাজ্জাদ বিদেশে পাঠানোর কথা বলে মিদুলের দুই আত্মীয়ের কাজ থেকে টাকা নেওয়ার কথা আমাকে জানিয়েছিল। টাকা পরিশোধ করবে বলে সময় নেয়। পররবর্তীতে খোজ নিয়ে জানতে পারি সাজ্জাদ বিদেশে চলে গেছে।