ভেড়ামারা প্রতিনিধি –
সুস্থ ধারার সাংবাদিকতা ফিরিয়ে আনতে ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা সফল ভাবে সম্পন্ন হয়।
ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাব ও দৈনিক হালচাল নিউজ. কম আয়োজিত ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাব, দৈনিক হালচাল এবং দৈনিক সত্যের দর্পন পত্রিকার সাংবাদিকগণ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি লায়ন ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা।
প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা দেশ,জাতি ও সমাজকে অনেক দুর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। দায়িত্বহীনতা ঘটাতে পারে মহা সর্বনাশ”।
সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথ এর তীর্থস্হান কুষ্টিয়া জেলার সাংবাদিকরা সারা দেশের ন্যায় স্বচ্ছ/ সুস্থ ধারার সাংবাদিকতা থেকে ক্রমাগত দুরে চলে যেতে বসেছে। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, আয়না তাই তাদের কোন দল নেই কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো টা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এভাবে চলতে থাকলে মূল ধারার সাংবাদিকতা হারিয়ে এ প্রজন্ম এবং আগামী প্রজন্ম অপ-সাংবাদিকতা ছাড়া আর দেখতে পাবে না। কাঙাল হরিনাথ, শিশির কুমার ঘোষ,আলাউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম মকুল মানিক শাহের মত আর প্রকৃত সাংবাদিকদের। সাংবাদিক সে যে স্তরেরই হোক না কেন দায়িত্ব সবারই সমান। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা দেশ,জাতি ও সমাজকে অনেক দুর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। দায়িত্বহীনতা ঘটাতে পারে মহা সর্বনাশ। সাংবাদিকতায় ভুলের কোন সুযোগ নেই। তাইতো মনীষিণীগন বলেছেন, ” এ কিং ক্যান ডু রং, বাট এ জার্নালিস্ট ক্যান নট”।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন ভেড়ামারার সিনিয়র সাংবাদিক মদন গোপাল আগরওয়ালা, ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ডাঃ শামীমা ইয়াসমিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ সাধনা রাণী, ঈশ্বরদী সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী সদস্য উজ্জ্বল হোসেন, এবিসি ন্যাশনাল নিউজ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তৌহিদ সরোয়ার, দৈনিক সত্যের দর্পন পত্রিকার সম্পাদক জাকির হোসেন মিথুন, ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কানন, নবীন সাংবাদিক রনি ইসলাম, আব্দুস সালাম, বিজয়, আকরাম, শুভ, জয় প্রমূখ।
প্রশিক্ষণার্থী সকল সাংবাদিকগণ কে সুস্থ ধারার সাংবাদিকতা করার আহবান জানান।
প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রশিক্ষণ গাইড,খাতা কলম, সার্টিফিকেট, নাস্তা, দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়।