ভেড়ামারা প্রতিনিধি –
কুষ্টিয়া ভেড়ামারা রেল স্টেশনে টিকেট মাস্টার শারমিনের সাথে নারী-যাত্রীর টিকেট ফেরত দেয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। বিকাল অনুমান চারটার দিকে ভেড়ামারা রেলস্টেশনে মাহফুজা আক্তার নামে একজন নারী যাত্রী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের আগামী কাল বেলা ১১ টার সময় ভ্রমণ সময় নির্ধারিত পূর্বে ক্রয়কৃত টিকেট এর সময় পরিবর্তন করতে আসে। তখন নারী টিকেট মাস্টার শারমিন এ বিষয়ে তাকে কোন ধরনের সহযোগিতা করতে পারবেন না বলে টিকেট বদলে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তখন নারী যাত্রী মাহফুজা তিনি সকল প্রকার খরচ নির্বাহ করে টিকেটের তারিখ পরিবর্তন করে দিতে বললেও উক্ত টিকেট মাস্টার এই নারী যাত্রীর সাথে তর্কে জড়ান। যাত্রী মাহফুজা টিকেট কাউন্টারের ভেতরে ঢুকে সহায়তা চাইলে তখন শারমিনা আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে হাতাহাতি শুরু করেন। একপর্যায়ে স্টেশনের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এ সময় মহিলা যাত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে রাখা হয়। যুক্তি হিসেবে বলা হয় তিনি ভিডিও করছিলেন। নারী যাত্রী মাহফুজা রাজশাহীর প্রিমিয়ার ব্যাংক এ চাকরি করেন বলে জানা যায়। এ ঘটনায় মাহফুজা আক্তারের বোন সাইমাকেও হেনস্থা করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত টিকেট কাউন্টার মাস্টার স্টেশনের মাস্টারের সহযোগিতায় জিআরপি পুলিশকে বিষয়টি জানায়। । জিআরপি থানা থেকে পুলিশ এসে টিকেট মাস্টার শারমিনের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং স্টেশনে ভাঙচুর করার অভিযোগে উক্ত দুই নারী যাত্রীকে জিআরপি থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে পুলিশের পোড়াদহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় ভেড়ামারা রেল স্টেশনে কয়েক ঘন্টা টিকেট বিক্রি বন্ধ ছিল। ঘটনা জানা জানি হলে শতশত মানুষ মুখ খুলতে শুরু করে।
ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম জানান, শারমিন এলাকার মেয়ে হওয়ায় সবার সাথে এমন আচরণ করেন।
সুজন নামে এক যাত্রী বলেন, সে মোবাইল এবং গল্প নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ঘন্টা না হলে টিকেট দিতে চাই না। তার আচরণে মনে হয় সে মানসিক সমস্যায় আছে।
এ ব্যাপারে স্টেশন মাস্টার এর নীরবতাকেও অনেকে দায়ী করেছেন। মাসুদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, স্টেশন মাস্টার হস্তক্ষেপ করলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারতো না।
রুনা নামে এক যাত্রী বলেন, তিনি মহিলাদের কেও পুরুষের সাথে লাইন দিতে বলেন এবং রুক্ষ প্রকৃতির আচরণ। যা আমি মেয়ে হয়েও তার এমন আচরণে লজ্জিত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শারমিনের বিরুদ্ধে অসংখ্য পোস্ট এবং শতশত কমেন্টই প্রমাণ করে সে সবার সাথে এমন বাজে আচরণ করেন এবং ক্ষমতা দেখান।
ভেড়ামারা বাসী সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষ শারমিনের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ সহ তার বদলি কামনা করেছেন।
পোড়াদহ রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদুল ইসলাম বলেন, ভেড়ামারা রেল স্টেশনের টিকেট কাউন্টারে ভাঙচুর ঘটনায় দুই নারীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।
ভুক্তভোগী শতশত যাত্রী এবং জনমনে প্রশ্ন ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট বুকিং ক্লার্ক শারমিন এর খুঁটির জোর কোথায়? সবার সাথে খারাপ আচরণ কারী শারমিনের করা মিথ্যা মামলার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী এবং অবিলম্বে তাকে বদলি করা জোর দাবী জানিয়েছেন ভেড়ামারা বাসী।
        
                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                
                                
                                
                                
                                