আবুজর গিফারী, বেড়া উপজেলা প্রতিনিধী।
ছোট্ট একটা গল্প বলি।
শুনেছি মহিষ চুরি করতে নাকি (০৩) চোর লাগে।
১ম চোর… মহিষের গলার ঘন্টা খুলে বাজাতে বাজাতে গ্রামের উত্তর দিকে রওনা হয়।
২য় চোর… মহিষ নিয়ে গ্রামের দক্ষিন দিকে যেতে থাকে।
৩য় চোর… ভালো মানুষ সেজে গ্রামের মানুষের সাথে মিশে যায়।
তারপর ভালো মানুষ সাজা
৩য় চোর… গ্রামের মানুষদের পরামর্শ দেয় ঘন্টার শব্দ যেদিক থেকে আসছে মহিষ সেই দিকেই গিয়েছে।গ্রামবাসী গভীরভাবে বিবেচনা না করেই ঘন্টার শব্দের দিকেই দৌড়াতে থাকে।
ঘন্টা নিয়ে যাওয়া
১ম চোর… নিরাপদ দুরত্বে গিয়ে ঘন্টা ফেলে দিয়ে অন্ধকারে মিশে যায়।গ্রামবাসী ঘন্টা খুঁজে পেয়ে ওইটা নিয়েই মশগুল থাকে।
মহিষ নিয়ে যাওয়া
২য় চোর… মহিষ নিয়ে নিরাপদে চলে যায়। এদিকে
ভদ্র মানুষরুপী ৩য় চোরকে কিছুক্ষন পর আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
এ দেশের যে কোন ইস্যুতে মিডিয়া প্রথমে ঘন্টা বাজিয়ে বাজিয়ে একদিকে যেতে যেতে হঠাৎ মিলিয়ে যায়। তারপর কথিত সুশীল সমাজের পরামর্শে দেশবাসী ঘন্টার শব্দের দিকেই হাটতে থাকে।
এদিকে ঘটনার মূল নায়ক ঘটনা ঘটিয়ে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে যায়।
মিডিয়া এক সময় থেমে যায়।
নতুন ইস্যু তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে যায়।
দেশবাসী কুড়িয়ে পাওয়া ঘন্টাটা বাজাতে থাকে, বাজাতেই থাকে আর
ভাবতে থাকে কি হলো কিভাবে হলো আর কি হবে….?
এবার বাস্তবতায় আসি,
কোন দেশ এবং কোনো জাতিকে ধ্বংস করতে হলে সেই জাতিকে মেধাশূন্য করতে হয়। স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হলেও আজও আমরা প্রকৃত অর্থে স্বাধীন একটা জাতি হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের এই সম্ভাবনাময় সুজলা সুফলা বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য এত রক্ত এত ত্যাগ তিতিক্ষা, তার কতটুকু পূরণ হয়েছে এতদিন পরে ভেবে দেখার সময় কি এখনো আসেনি?
আমরা কি এখনো
বাক স্বাধীনতা পেয়েছি?
ন্যায় বিচারের বাণী এখনো আদালতের দরজায় কুড়ে কুড়ে কাদঁছে।
কিছু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ইচ্ছা মত আমাদের জাতিকে নিয়ে ছেলেখেলায় মত্ত হয়ে আছে, আর আমরা তাদের রচিত চিত্রনাট্যের অভিনয় করে যাচ্ছি যা আমরা নিজেরাই জানি না।
আফসোস এখনো আমরা জাগ্রত হতে পারিনি…!
মনে রাখতে হবে ঘুমন্ত কোন জাতিকে জাগ্রত করা যায় না। আসুন আমরা ঘুম থেকে জেগে উঠার চেষ্টা করি। সম্ভাবনাময় এমন একটা দেশকে আমরা তলা বিহীন ঝুড়ি হওয়া থেকে রক্ষার চেষ্টা করি।