ঢাকাThursday , 11 September 2025
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মাদারগঞ্জে সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ১৫ গ্রামের মানুষ, বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা।

দেশ চ্যানেল
September 11, 2025 8:52 am
Link Copied!

মোঃ কামাল উদ্দিন মাদারগঞ্জ প্রতিনিধি

মাদারগঞ্জের চরনাংলা বাঁধের মাথায় সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ১৫ গ্রামের চরাঞ্চলের মানুষ, এখন ভরসা বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। জামালপুরের মাদারগঞ্জে সেতু না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একমাত্র বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের নাংলা বাঁধের মাথা এলাকায় যমুনার শাখা নদীতে সেতু না থাকায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো দিয়ে দু’উপজেলার অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন বৃদ্ধ, নারী, শিশু, রোগী, স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কৃষকরা চলাচলে দুর্ভোগে পড়ছেন।

এদিকে সেতু না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারে না এসব এলাকায়। ফলে মুমূর্ষু রোগী ও গর্ভবতী নারীরা পড়ছেন বিপদে। দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচন এলে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর কোনো উদ্যোগ নেন না। বছরের পর বছর জনপ্রতিনিধিদের কাছে ঘুরেও সেতুর বিষয়ে মিলছে না কোনো সমাধান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নে যমুনার শাখা নদী নাংলা, নাদাগাড়ী, পশ্চিম সুখনগরীসহ ১৫ টি গ্রাম কে আলাদা করেছে। ওসব গ্রামের মানুষ ওই নদীটি প্রথমে নৌকা দিয়ে পারাপার শুরু করে। পরে এলাকাবাসীর নিজস্ব উদ্যোগে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। এরপর থেকে এ সাঁকো দিয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের নাংলা, নাদাগাড়ী, পশ্চিম সুখনগরী, জোড়খালী ইউনিয়নরে ফুলজোড়, কাইজের চর, আতামারী, বগুড়ার সারিয়াকান্দী উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের শুনপঁচা, নান্দিনা চর, ডাকাতমারী, বোহাইল ইউনিয়নের ধারাভর্ষা, শংকরপুর, জাওনের চরসহ ১৫ গ্রামের মানুষ পারাপার হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নাংলা বাঁধের মাথা এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকোটি কয়েক বছর আগে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে। সাঁকোটির পাটাতনের কাঠ নষ্ট হয়ে গেছে। কাঠ ভেঙে অনেক স্থানে ফাঁকা হয়ে আছে। বৃষ্টির পানিতে কাঠ ও বাঁশে পচন ধরেছে। লোকজন চলাচলের সময় সাঁকোটি দুলতে থাকে। এরপরও প্রতিদিন দু’পাড়ের প্রায় ১০ হাজার মানুষ ওই ভাঙা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে।

এবিষয়ে নাংলা এলাকার জিল্লুর রহমান দেশ চ্যানেল কে   বলেন, যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এই এলাকায় মানুষ আত্মীয়তা করতে চায় না। আর কত কষ্ট করবে এই এলাকার মানুষ? আমরা এখানে একটা সেতু চাই।

এবিষয়ে ফুলজোড় এলাকার কৃষক মাজেদুল ইসলাম বলেন, সেতু না থাকায় এ অঞ্চলের কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ঠিক সময়ে বাজার নিতে পারে না। ফলে কৃষক ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। এখানে একটি সেতু হলে কৃষকদের খুব উপকার হবে।

এবিষয়ে ৪ নং বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মুসা দেশ চ্যানেল কে বলেন, একটি সেতুর অভাবে ১৫টি গ্রামের স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষকে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বাঁশের সাঁকো ছাড়া ওই অঞ্চলের মানুষকে প্রায় পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার পথ ঘুরে বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে হয়। সেতু নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর কষ্ট অনেকটাই কমে আসবে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া তমাল দেশ চ্যানেল কে বলেন, গাবেরগ্রাম-নাংলা সড়কের নাংলা বাঁধের মাথা এলাকায় একটি সেতুর প্রয়োজন। তবে সড়কটির আইডি না থাকায় দেড় বছর আগে আইডির জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, এটি দ্রুততম সময়ে অনুমোদন হবে। আইডি হলে সেখানে কোন চেইনেজের সেতু প্রয়োজন সেটি উল্লেখ করে প্রস্তাব পাঠানো হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST