মো: আশরাফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি.
মা ইলিশ রক্ষায় সারাদেশে ইলিশ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর-শিবালয়-দৌলতপুরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারে মেতে উঠেছেন জেলেরা। পেশাদার জেলেদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন মৌসুমি জেলেরা। হাট-বাজারে ইলিশ বিক্রি করতে না পেরে চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী হাট বসিয়েছেন তারা। ভ্রাম্যমাণ এসব হাটে ইলিশ বেচা-কেনার উৎসব করছেন জেলে ও ক্রেতারা।
পদ্মা-যমুনায় অবাধে ইলিশ শিকার হলেও স্থানীয় প্রশাসন নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানান স্থানীয়রা। মাঝে মাঝে অভিযান চললেও ইলিশ শিকার চলে রাত-দিন। পদ্মা-যমুনায় মা ইলিশ রক্ষায় প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ না থাকার ফলে ইলিশ ধরার ওপরে নিষেধাজ্ঞার কোন সুফল দেখা যাচ্ছেনা বলেও জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিনে হরিরামপুর উপজেলার বসন্তপুর ,পাটগ্রাম চর, ভগবান চর, নটাখোলা চরসহ আজিমনগরের হাতিঘাটা এলাকায় পদ্মা নদীতে জেলেদের ইলিশ মাছ ধরার দৃশ্য দেখা যায়। দৌলতপুরের বাচামারা, বাঘুটিয়া ও চরকাটারী এলাকায় এবং দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া চর, তেওতা, দক্ষিণ তেওতা ও জাফরগঞ্জ এলাকার যমুনা নদীতে জেলেদের অবাধে মা ইলিশ শিকার করতে দেখা যায়। এছাড়া নদীর তীরবর্তী এলাকায় অস্থায়ী হাট বসিয়ে অবাধে ইলিশ বিক্রির দৃশ্যও চোখে পড়ে। দাম কমের আশায় দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারাও এসে ভীড় করছেন এসব অস্থায়ী হাটে।
হরিরামপুর উপজেলার হরিনাঘাট এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, বর্তমানে পদ্মায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। ভালো দাম পাওয়ায় আশায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু জেলেরা মাছ ধরে। এদিকে প্রশাসনের অভিযান ও তৎপরতা কম থাকায় জেলেরা অবাধে ইলিশ মাছ শিকার করছে।
শিবালয় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন ও হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুল ইকরাম নিয়মিত অভিযানের কথা বলেছেন ।
বিষয়টি নিয়ে পাটুরিয়া ঘাট নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান চালাই, ইলিশ মাছ শিকার করতে দেখলেই আটক করি। আর যেসব মাছ জব্দ করি সেগুলো এতিমখানায় দিয়ে দেয়া হয়।
মা ইলিশ রক্ষায় প্রশাসনের গাফলতি নেই উল্লেখ করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান বলেন, আমার নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি, সকলে মিলে সফলভাবে ইলিশ নিধন বন্ধ করেছি।

