মোঃ মাসুম উদ্দিন খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার ২নং বাটনাতলী ইউনিয়নের আওতাধীন অবস্থিত খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ১৬০ একর বিশাল জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠেছে ডিসি অ্যান্ডভেঞ্চার এন্ড ইকো ট্যুরিজম পার্ক।
প্রকৃতির বৃক্ষ লতা অপরুপ সৌন্দর্যে ভরা সেই দৃশ্য খুব অল্প সময়ে মানুষের মন কেড়ে নিয়েছে এই ডিসি পার্কটি।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক,মানিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন,স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ সকলের সু-দৃষ্টি ও শত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠেছে এই ডিসি পার্ক।
বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্যুরিস্ট আসে ভ্রমনে, ডিসি পার্কে ভ্রমন পিপাসুদের মনে আনন্দ বিরাজ করার বিপরীত বেদনাদায়ক প্রশান্ত বিরাজ করছে।
তিলে তিলে গড়ে ওঠা ডিসি পার্কের শুনাম যেনো দিন দিন ক্ষুন্ন হচ্ছে দায়িত্বশীলদের অবহেলার কারনে।ডিসি পার্ক নিয়ে মানুষের মনে সমালোচনার আনাগোনা বিস্তার করছে।
ডিসি পার্কের দায়িত্বরত ম্যানেজার শাহাদাত’র বিরুদ্ধে টুরিস্টদের অভিযোগ অতিরিক্ত টাকা আদায় এবং ট্যুরিস্টদের সাথে অশুভনীয় আচরণ লংঘন।
ট্যুরিস্টদের কোনো মূল্যায়ন নেই তার কাছে যুক্তিহীন কথাবার্তা,দায়িত্বের অপব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ আসে তার বিরোদ্ধে।
বড়বিল সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার কমিটির সদস্য মোঃ মনির হোসেন বলেন,শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সোমবার সকাল ১০ঘটিকার সময় ডিসি পার্কে শিক্ষা সফরে যাই এবং নিয়ম মেনে টিকেট ক্রয় করার পরেও অতিরিক্ত টাকা অযুক্তিক ভাবে দাবি করায় দীর্ঘ সময় বাক বিতন্ডা হয়, তাদের আচরণের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে ফেরত চলে আসার সিদ্ধান্ত নেই, কিন্তু শিক্ষার্থীদের মনের কথা চিন্তা করে তাদের সকল ঘৃণা দায়ক ব্যবহার মেনে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করি।
তাছাড়া তিনি বলেন তাদের কাছ থেকে এমন অশুভনীয় আচরণ আমি কখনো আশা করিনি,তাদের এমন অনিয়ম ও আচারণের প্রতি নিন্দা প্রকাশ করছি।
মাদ্রাসা সুপার কাউছার হামিদ রোকন বলেন এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বশীল ব্যক্তি খুব প্রয়োজন।কারণ দায়িত্বহীনতা, দায়িত্ব অবহেলার কারনে ডিসি পার্কের শুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে,যোগ্য স্থানে যোগ্য দায়িত্বশীল ব্যক্তি না থাকলে দিন দিন ডিসি পার্কের প্রতি মানুষের আস্থা ওঠে যাবে।তাই তিনি ডিসি পার্ক পরিচালনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃকপক্ষকে কড়া নজর রাখার অনুরোধ জানান।