মোঃ মশিউর রহমান সুমন। মেহেন্দিগঞ্জ, (বরিশাল)প্রতিনিধিঃ
বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আড়িয়াল খাঁ, কালাবদর, তেতুলিয়া, মেঘনা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় কোন বালু মহাল না থাকলেও ব্যবসায়ীরা অবৈধ উপায়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশক্ষা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
উপজেলার কালাবদর, তেতুলিয়া, মেঘনা তিনটি বড় নদী। প্রতিবছর বর্ষায় তিন নদীর ভাঙ্গনে অনেক বাড়ি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।ভাঙ্গন রোধে এসব নদী থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হলেও উপজেলা ও থানা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি নদী থেকে রাতের আধারে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
অবৈধ বালু উত্তোলন করে একশ্রেণীর মানুষ কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অপরদিকে সাধারণ মানুষ তাদের ভিটেমাটি নিয়ে নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।
নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে বরিশাল জেলা প্রাশাসন ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত আবেদন জানালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে অবৈধ ড্রেজারের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মুজিব শতবর্ষের ঘর উত্তোলনের জন্য নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর দাবি সেই ড্রেজার দিয়ে আবার রাতের আধারে বালু উত্তোলন করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে প্রশাসনজে অবহিত করা হলেও প্রশাসন নীরব ভুমিকা পালন।করে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।