মোঃ রিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার (নারায়ণগঞ্জ)
সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায় নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া হতে বৈদ্যের বাজার ঘাট মার্স ফিড পর্যন্ত সড়কটি।টানা বর্ষণের ফলে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার বেশিরভাগই খানা-খন্দে ভরে গেছে।এর ফলে এই রাস্তা চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়,প্রায় এক কিলোমিটারের রাস্তার বেশিরভাগই খানা-খন্দে ভরে গেছে।রাস্তার বেশিরভাগ জায়গার পিচ উঠে মাটি ও বৃষ্টির পানির সংমিশ্রণে কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খানা-খন্দের মধ্যেই চলছে ছোট-বড় ভারী যানবাহন।স্থানীয়রা জানান,উপজেলা অফিস,হাসপাতাল ক্লিনিক,স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা,রেজিস্ট্রি অফিস,এসিল্যান্ড অফিস,মার্স গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ,আল মোস্তফা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ,ঐতিহ্যবাহী আনন্দবাজার হাট,সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী লোকনাথ মন্দির,আমান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ সহ আরো অনেক অনেক জনসেবা মূলক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এই রাস্তাটি দিয়ে চলাফেরা করতে হয়।উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ৪০/৫০ টি গ্রামের লোকজনের রাজধানী ঢাকায় যাওয়া-আসার জন্যে বৈদ্যের বাজার ঘাট মার্স ফিড হতে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা পর্যন্ত এই রাস্তাটি,তাই এই রাস্তাটি এলাকার জনগণের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়ক বৈদ্যের বাজার ঘাট হতে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার রাস্তাটি।ফলে চাকরিজীবী,ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্কুলগামী সবাই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে।প্রতিদিন এ সড়কে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে।মার্স গ্রুপের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ জসিম উদ্দিন সরকার বলেন-রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার কথা শোনতে পাওয়া যায়।কোম্পানির গাড়িগুলোর যন্ত্রাংশ প্রতিদিনই ক্ষতি হচ্ছে,ফলে গাড়ি গুলো মেরামত করতে গিয়ে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়,ফলে কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।স্থানীয়দের অভিযোগ-সবাই মিলে একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে রাস্তাটি সংস্কারকরণের জন্য দাবি জানিয়েছি।
কিন্তু,কেউ কোনো কাজ করেননি।জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার আমলে এই রাস্তার তেমন কোন কাজ হয়নি।পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি আব্দুল্লাহ কায়সার সংসদে যোগ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এই রাস্তাটির জন্য কিছু করতে পারেনি।এরপর থেকে এ পর্যন্ত আর কোন রাস্তাটির কাজ হয়নি।এই রাস্তাটির বাড়ি মজলিস,হাবিবপুর,পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন,থানা সংলগ্ন বটতলা বাজার,মর্ডান হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সংলগ্ন ,রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন,কাঠপট্টি এলাকা থেকে বৈদ্যের বাজার মার্স ফিড পর্যন্ত রাস্তায় ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে নিত্যদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।তাই ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।সোনারগাঁ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বলেন,প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে।তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়।প্রায় সময়ই গাড়ি দুর্ঘটনা হয় এ রাস্তাতে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাবরিনা হক বলেন-অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হলে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয়,রোগীরা ভোগান্তি নিয়েই হাসপাতালে আসেন।তাই এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার।ভবনাথপুরের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন,প্রতিদিনই আমাদের এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়।বৃষ্টিতে রাস্তাটি একদম চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।কয়েকদিন আগেও একটি রিকশা বটতলা উল্টে যায়,এতে মহিলা যাত্রী গুরুতর আহত হয়।তারপরও শত ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়।আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত এ রাস্তা মেরামত করার ব্যবস্থা করেন।দত্তপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা শ্রী ফালু দাস বলেন,নারায়ণগঞ্জের মধ্যে মনে হয় এতো খারাপ রাস্তা আর নেই।জনপ্রতিনিধিরা যদি এ রাস্তাটি সংস্কার করতে না পারে তাহলে তারা যেন নৌকা চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়।এ বিষয়ে রোডস এন্ড হাইওয়ের কর্মকর্তা শাহানা আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি জানান-ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির সংস্কারের ব্যাপারে আলাপ আলোচনা চলছে।তবে এই রাস্তাটি মজবুত ও টেকসই করে করতে হবে।আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই রাস্তাটির কাজ শুরু হয়ে যাবে।এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)ফারজানা রহমান বলেন, রাস্তাটি এলজিআরটির আওতায়।রাস্তাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ,এ বিষয়ে উপজেলা মিটিংয়ে বসে আলোচনা করে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।