ঢাকাWednesday , 3 April 2024
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. চাকুরী
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • বিজ্ঞাপন

    বিজ্ঞাপন

  • রোজার ক্লান্তি আর ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে খুলনায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা !

    দেশ চ্যানেল
    April 3, 2024 7:26 am
    Link Copied!

    বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো:

    দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিম ধর্মের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব আসন্ন ঈদুল ফিতর এর আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি থাকতেই ঈদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে খুলনার মার্কেট শপিংমল বিপনী বিতান গুলো

    রোজার ক্লান্তি আর ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে পবিত্র ঈদ উদযাপন করার লক্ষ্যে পরিবারের ছোট বড় সকল সদস্যদের জন্য পোশাকাদি কেনাকাটা করতে উৎসবের আমেজে সকাল থেকে রাত অব্দি প্রতিটি মার্কেটে দেখা যাচ্ছে ক্রেতা সমাগম। সাথে বাহারি রকমের দেশি-বিদেশি নানান ধরনের ডিজাইনের রেডিমেড পোশাক থান কাপড় সহ সকল ধরনের প্রশাধনী পণ্য সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে দোকানিরা ব্যস্ত সময় পার করছে শপিংমল গুলোর বিক্রেতারা

    তার মধ্য সব থেকে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বাচ্চাদের পোশাকের দোকানগুলোতে। খুলনার নামিদামি বিলাসবহুল শপিংমলে বাচ্চাদের জন্য রাখা হয়েছে টমবয়, হিলগিরি, স্মার্ট বয়েজ, ফোপস, রোবট আর এগুলো অধিকাংশ আমদানি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত চায়না ও থাইল্যান্ড থেকে পাশাপাশি দেশী কিছু পণ্য থাকলেও সেগুলোতে নজর কারছেনা ক্রেতাদের। অপরদিকে নারীদের আধুনিক রূপে সাজাতে আমদানি করা হয়েছে ভারতীয় পাকিস্তানী ও অন্যান্য দেশের নানান ধরনের পোশাক তার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় কারচুপি,সিল্কিনা, গঙ্গা, ভিনয়, জয়পুরী, লাকনো, গুজরাটি সিকুয়েন্স, জর্জেট চিকেন সহ বিভিন্ন ধরনের বাহারি পোশাক দোকানীরা যার মূল্য হাকিয়ে বসেছে সর্বনিম্ন ৩ হাজার থেকে ৩৫ হাজার পর্যন্ত।পাশাপাশি নারীকে অন্যরূপে সাজাতেও শাড়ির দোকানে উঠেছে বাহির রকমের শাড়ি।

    এদিকে পুরুষদের জন্য থান কাপড়ের দোকানে এসেছে সিকুয়েন্স পাঞ্জাবির কাপড় জর্জেট কটন ও অল ওভার কাজ করা সেলফ ডিজাইনের গিজা কটন এবং প্যান্ট শার্টের জন্য রেমন্ড, অরবিন্দ সিয়ারামস্, সকটাচ, গিনি ,

    রেড অ্যান্ড টেইলর সহ আরো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাপড়। তবে বেশ কয়েক বছর যাবৎ জামাকাপড়ের থেকেও তুলনামূলক ভাবে রমজান মাস শুরু থেকেই পাঞ্জাবির কাপড় বিক্রি থেকে শুরু করে তৈরির ক্ষেত্রে অধিক ঝোঁক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে বসে নেই কসমেটিক্স জুতা ও অন্যান্য পণ্য সামগ্রী দোকানিরা। অপরদিকে যেমন অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের দামের ব্যাপারে প্রকারভেদে সকল ধরনের পোশাকের ক্ষেত্রে গত বছরের তুলনায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে দেড় থেকে দুই গুণ স্বাদ থাকলেও সাধ্যের মধ্যে নেই নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের এসকল মার্কেট থেকে পরিবারের সদস্যদের পোশাক কেনার মতন। অপরদিকে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলছে আমরা দোকানগুলোতে দুটি ঈদকে ব্যবসার প্রধান মৌসুম হিসেবে কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট করে পর্যাপ্ত পরিমাণে মালের সরবরাহ রাখলেও সেই তুলনা অনুযায়ী মার্কেটে ক্রেতা সমাগম থাকা সত্বেও বিক্রয়ের সংখ্যা খুবই সীমিত তবে রমজান শুরুতে মার্কেটগুলো ক্রেতাশূন্য থাকলেও বর্তমানে কিছু ক্রেতাদের আগমন দেখে আশ্বস্ত হচ্ছি হয়তো বা বেচাবিক্রী সামনের দিনগুলোতে তুলনামূলক বাড়তে পারে।

    তবে নগরীর বেশ কিছু মার্কেট শপিং মল ঘুরে সরজমিনে দেখা গেছে বিলাসবহুল শপিংমলগুলোতে বিদেশি অধিক দামের পণ্য রাখার কারণে বেচা বিক্রি কিছুটা ঘাটতি দেখা দিলেও ছোটখাটো মার্কেট ফুটপাত টং দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে পা ফেলাবার জায়গা নাই সাথে ফুরসত সরছেনা বিক্রেতাদের কারণ নিক্সন মার্কেট, শহীদ এস এম রব শপিং সেন্টার, খুলনা রেলওয়ে বিপনিবিতান, হ্যানিম্যান মার্কেট, খাজা খান জাহান আলি মার্কেট, জলিল টাওয়ার এশা চেম্বারসহ এই ধরনের মার্কেট গুলোতে সকল শ্রেণীর ক্রেতাদের সাধ্য ক্রয় ক্ষমতা নাগালের মধ্য বাচ্চাদের পোশাক মহিলাদের থ্রি পিস সালোয়ার কামিজ জর্জেট কাতান সিকোয়েন্স চিকেন বুটিকসহ নানান ধরনের পোশাকের সমারহ সাথে পুরুষদের পাঞ্জাবি শার্ট প্যান্ট বিভিন্ন ধরনের টি শার্ট পাশাপাশি নগরীর ডাকবাংলা সিমেট্রি রোডের জুতার দোকানগুলোতে রয়েছে সাধ্য নাগালের বিভিন্ন ধরনের জুতা স্যান্ডেল খাজা খানজাহান আলী মার্কেটে দেশি-বিদেশি নানান ধরনের শাড়ি লুঙ্গি। পাশাপাশি ক্লে রোড এশা চেম্বারে রয়েছে প্রসাধনী কসমেটিকস সামগ্রী যা অন্যান্য মার্কেট শপিং মলের তুলনায় একই জিনিসের এ সকল এলাকার দোকানগুলোতে ন্যায্য মূল্যে পাওয়ার কারণে সকল শ্রেণীর ক্রেতারা এখানে এসে ভিড় জমাচ্ছে ফলে এসকল এলাকার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট পরিমাণে ক্রেতাদের উপস্থিতি ও বেচা বিক্রিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছে আলহামদুলিল্লাহ বেচা বিক্রি যথেষ্ট ভালো আশা করছি বাকি যে কয়দিন আছে শেষ চাঁদ রাত পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে আরো বাড়বে।

    এদিকে নগরীর বিলাসবহুল শপিং সেন্টার মার্কেট গুলোর ব্যবসায়ীরা আরেকটি অভিযোগ তুলে বলেছেন কিছু শ্রেণীর ক্রেতারা ভারতীয় পণ্য বর্জন করার কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আমদানি করা দামি পণ্যগুলোর উপর কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে যার কারনে আমাদের বেচা বিক্রি একটু মন্দা তবে আশা করছি রোজার শেষ দিন পর্যন্ত এ ধারণাটা হয়তোবা ঐ সকল ক্রেতাদের মধ্য থেকে পাল্টে যাবে কারণ ভারতীয় পোশাক ছাড়া নারীদের রুচি সম্মত তেমন কোন সুন্দর পোশাক মার্কেটে নাই।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST