রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে খাদ্য গুদামের বাউন্ডারি থেকে বিজিবি ক্যাম্প মোড় পর্যন্ত হাসপাতালের সংলগ্ন ফুটপাত জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর আবার দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মান করেছেন। হাসপাতালে আসা রোগী ও জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি ও পরিবেশ দুষণের অভিযোগে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করেছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট নাহিদ হাসান খান। উচ্ছেদ অভিযানের ২ মাস যেতে না যেতেই ৮/১০ হাজার টাকার বিনিময় আবারও ফুটপাত দখল করে দোকানপাট নির্মানের অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। দোকানপাটের আড়ালে ঢেকে নিয়েছে হাসপাতালটি।
দীর্ঘদিন থেকে চলছে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। রৌমারী খাদ্য গুদামের বাউন্ডারী থেকে সদর বিজিবি ক্যাম্প মোড় পর্যন্ত হাসপাতালের বাউন্ডারি লাগোয়া ৫/৬ ফুট প্রস্তের ফুটপাতে বিভিন্ন চায়ের দোকানদারদের দখলে। চায়ের দোকানের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে হাসপাতালের ভেতরে। ফুটপাত না থাকায় দোকানের সামনে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে অটোরিক্সা, ভ্যান গাড়ি। হাসপাতালে রোগীসহ আসা জনসাধারনের চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এমনকি দুর্ঘটনাও ঘটে। এছাড়াও হাসপাতালের পরিবেশ দুষণে পরিনত। এমন অভিযোগ উপজেলা মাসিক সভায় উত্থাপন এবং বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট নাহিদ হাসান খানের নেতৃত্বে পঃ পঃ কর্মকর্তা আসাদুজ্জানের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযানে দোকান ঘর গুলো ভেঙ্গে দেয়া হয়। ২ মাস যেতে না যেতেই কর্তৃপক্ষ ও কিছু কুচক্রি মহলের যোগসাজসে ৮/১০ হাজার টাকার বিনিময়ে আবারও অবৈধ ভাবে দোকানপাট নির্মান করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে হাসপাতালে অসুস্থ্য রোগীদের সাথে আসা মোয়াক্ষের আলম, সোনা মিয়া, খলিলুর রহমান, জাহিদ হাসান, মোমেনা খাতুন, রাশেদা বেগমসহ অনেকেই কষ্টের সাথে বলেন, আমরা দুরদুরান্ত থেকে খুব কষ্টে হাসপাতালে আসি সেবা নিতে। হাসপাতালে প্রবেশের ফুটপাতে দোকানপাট থাকায় চলাচল করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কিছুদিন আগে দেখে ছিলাম দোকান গুলো ছিল না এবং হাসপাতালের পুরা স্থানে বিভিন্ন জাতের গাছ লাগিয়ে ছিল। বেশ সুন্দর একটা পরিবেশ ছিল। চলাচলে কোন সমস্যা ছিল না। আবারও দোকান পাট করায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
হাসপাতালের ভেতর মসজিদে যাতায়াত মুসুল্লি সাখাওয়াত হোসেন, নেক্কার খন্দকার, শরিফ উদ্দিন, জোব্বার আলীসহ অনেকেই জানান, হাসপাতালের সামনে ফুটপাতে দোকানপাট নিমার্নের কারনে হাসপাতালের পরিবেশের ক্ষতি। অন্যদিকে নামাজের সময় যাতায়াতসহ মসজিদের মুসুল্লিদের সমস্যা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী বলেন, ৩/৪ জন লোকের মাধ্যমে ৮/১০ হাজার টাকা নিয়ে ঘর নির্মানের অনুমোতি দিয়েছে পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান জানান, দোকান গুলির কারনে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হয়েছিল। রোগীদের চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের ভোগান্তি থেকে রক্ষা ও পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য দোকান পাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবারও দোকান পাট নির্মানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, হাসপাতালের ভেতরে মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জেমদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য খরচের বিষয়ে মসজিদ কমিটিদের সাথে পরামর্শ ও নবনির্বাচিত এমপির সাথে কথা বলে আবারও দোকান গুলি নির্মানের অনুমোতি দেয়া হয়েছে।
পরিবেশ নষ্ট করে হাসপাতালের সামনে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে দোকানপাট ও সদর চেয়ারম্যানের অফিস কার্যালয় নির্মান করার বিষয়ে অভিযোগ উঠলে উচ্ছেদ করা হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, সেখানে আবারও অবৈধভাবে দোকনপাট নির্মান করার অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত নির্মানকৃত দোকানপাট উচ্ছেদ করার ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।