লাখাই উপজেলা প্রতিনিধি
লাখাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে।
রবিবার(১৪ ডিসেম্বর) উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা সভাকক্ষে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিনস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মুরাদ ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোহিতুল ইসলাম এর পরিচালনায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাহিদুল হক, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ শাহাদুল ইসলাম,লাখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ রুপন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা কেশব চন্দ্র রায়,পজীব কর্মকর্তা একেএম আব্দুস শাহেদ, লাখাই প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আলী নোয়াজ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ বাহার উদ্দিন, লাখাই উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম ও সাংবাদিক পারভেজ হাসান প্রমূখ।
আলোচনা সভার পূর্বে উপজেলা চত্বরে স্থাপিত স্মৃতিসৌধ এ পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মুরাদ ইসলাম,উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও অতিথি বৃন্দ।
আলোচনা সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা শফিকুল ইসলাম ও গীতা পাঠ করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা কেশব চন্দ্র রায়।
বক্তাগণ ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির জীবনে এক ভয়াবহ রক্তাক্তের ইতিহাসের দিন।১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের চুড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সাথে রাজাকার, আল বদর,আল- শামস বাহিনী বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষাবিদ,গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের নির্যাতনের পর হত্যা করে।চুড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে থাকায় স্বাধীন বাংলাদেশ কে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত হয়।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সকল শহিদদের মাগফিরাত কামনা করে বক্তারা আরও বলেন দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগকারী শহিদ বুদ্ধিজীবিদের আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখার আহবান জানান।

