জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের সোনাদা,পাচুড়িয়া গ্রামে ভুয়া এবং জাল কাগজপত্র দিয়ে নিয়োগ বানিজ্য করে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লোহাগড়া উপজেলার সাদেক,ও শরিফুল, বেলাল চক্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা সরকারি করনের কথা বলে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ইতিপূর্বে সোনাদাহ,পাচুড়িয়া গ্রামে কোন এবতেদায়ী মাদ্রাসা ছিলো না। সরকার যখন এবতেদায়ী মাদ্রাসা সরকারি করন করা হবে তখন এই চক্রটি ভুয়া কাগজ পত্র তৈরি করে এমনকি ২০১৯ সালে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভুয়া স্বারক ও জাল করে মন্ত্রানালয়ে পাঠিয়েছে। ওই এলাকার অনেকে সাংবাদিকদের বলেন আমাদের গ্রামে কোন এবতেদায়ী মাদ্রাসা নাই। এরআগে এই মাদ্রাসা নিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো তা বিভিন্ন পত্র,পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিলো, শক্তিশালী ওই লুটেরারা কোনকিছু তোয়াক্কা না করায় লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু রিয়াদ মোবাইল কোর্ট করে কথিত ওই প্রতিষ্ঠান টি বন্ধ করে দেন।
ক্ষমতাধর কোটাকোল মাদ্রাসার সুপার বেলাল আহমেদ, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের থানা কমিটির সদস্য,মোঃ শরিফুল মুন্সি ও বহুদলীয় নেতা সাদেক আলী সরকারের আদেশকে বৃদ্ধ আংগুল দেখিয়ে বিলুপ্ত মাদ্রাসা পরিদর্শন করান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু রিয়াদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন কোন ক্রমে ২ টি প্রতিষ্ঠান পাশাপাশি হতে দেওয়া সম্ভব না। তাছাড়া এই মাদ্রাসা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বন্ধ করে ছিলাম কিন্তু কে বা কারা আমার আদেশ ছাড়া এমন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি জানান আমি যে সকল ডকুমেন্টস চেয়েছি তারা তা দেখাতে পারে নাই। আর এতো নিকটে ২ টি প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে না। আমি যা পেয়েছি ঠিক ওই মোতাবেক রিপোর্ট প্রদান করবো।