আবু তালহা, চবি
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তৎকালীন সরকারের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অপতৎপরতা, হত্যা, ঘুম, খুন, চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নানা কারণে হেনস্তা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো দলীয় করণ করে শিক্ষার্থীদের বৈধ সীট থেকে বঞ্চিত করা সহ নানারকম কার্যকলাপের কারণে শিক্ষার্থীদের মনে পূর্ব থেকেই ছাত্ররাজনীতি নিয়ে নেগেটিভ চিন্তা-ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ছাত্ররাজনীতি নিয়ে তাদের আরো ঘৃণ্য মনোভাব সৃষ্টি হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়। শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের একের পর হামলা শিক্ষার্থীদের মনে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে সম্পূর্ণ খারাপ একটি চিত্র উঠে আসে।
যার বদৌলতে বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সুর উঠে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা আর কোন রাজনৈতিক কার্যকলাপ দেখতে চায় না ক্যাম্পাসে।
নবনিযুক্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাত্র রাজনীতি নিয়ে কি ভাবেন সে বিষয়ে সকলের আলাদা আগ্রহের জায়গা সৃষ্টি হয়েছিল।
আজ সোমবার (২৩ই সেপ্টেম্বর) মাননীয় উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আক্তারকে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অবশ্যই রাজনীতি করতে হবে। রাজনীতি সচেতন হতে হবে। তবে সেটা দলীয় কিংবা লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি হওয়া যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় হবে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের রাজনীতি হবে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। আমাদের সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
ছাত্র রাজনীতি আসলেই নিষিদ্ধ হওয়া উচিত কি না সে বিষয়ে কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। গত ৮ই সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেছিলেন,‘ছাত্র রাজনীতি থাকলে বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে আমরা সেভাবে সোচ্চার হতে পারবো না, রাজনীতি না থাকলে যে ফাকা জায়গা তৈরি হবে সেটি আবার ফ্যাসিস্টের হাতে চলে যাবে, তাই স্বাধীনতাকে ধারণ করার জন্য ছাত্র রাজনীতি প্রয়োজন তবে সেটা কোন লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি হওয়া যাবে না। এজন্য ছাত্র রাজনীতিতে প্যারাডাইম শিফট নিয়ে আসতে হবে অর্থাৎ বিদ্যমান মতবাদ থেকে নতুন মতবাদে শিফট করতে হবে।’
এবার চবির উপাচার্যও একই কথা বলেছেন।