ভেড়ামারা প্রতিনিধি –
আপনি কি আপনার সন্তান কে জিনিয়াস হিসেবে গড়ে তুলতে চান? তাহলে আপনার সন্তান কে প্রাণায়াম যোগ শিক্ষা দিন।
যোগ করার ফলে শিশুদের হাড় ও পেশীর গড়ন ঠিকঠাক ও শক্তিশালী হয়। যোগ শরীরের অতিরিক্ত স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে। ঘুমের সমস্যায় ভোগা শিশুদের জন্য যোগ অনেক বেশি কার্যকরী। শিশুদের মাঝে অতিরিক্ত উদ্যম থাকার ফলে তাদের মাঝে অস্থিরতা কাজ করে। নিয়মিত যোগ করলে মন স্হির হয়, একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়, প্রজ্ঞাবান হয়, মেধাবী হয়, সুপার পাওয়ার হয়।
প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস থেকে উঠে আসা ব্যায়াম, যোগব্যায়াম। যোগব্যায়াম বলতে তো ভারি কিছু না। সব আসন অনুশীলন যা সহজেই ঘরে বসেই যে কেউ করতে পারে। শিশুরা যোগের বুঝবেই বা কি? আর অনুশীলন করতে পারবেই বা কতটা। এমন ভাবার সুযোগ নেই একেবারেই। শেখার সঠিক পরিবেশ আর সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে শিশুরাও পারে যোগব্যায়ামের অনুশীলন করতে।
খেলার ছলে শিশু যেকোনো কিছুই শিখতে পারে অনায়াসে। পড়তে হবে বলে পড়া, আর মনের ক্ষুধায় পড়া—এ দুয়ের মধ্যে ফারাক অনেকটা। লেখাপড়ার মতো একই কথা খাটে যেকোনো ধরনের দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে। যোগব্যায়ামও এর ব্যতিক্রম নয়।
ডাঃ মনা ইয়োগা ওয়ার্ল্ড /প্রাণায়াম ও অ্যাকিউপ্রেসার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা তে ফ্রী যোগ শেখান। তিনি নিরলস ভাবে চেষ্টা করে চলেছেন দেশের ঘরে ঘরে প্রতিটা মানুষ যোগী হয়ে উঠুক।
তিনি বলেন,” আমাকে একটি যোগী মা দিন আমি নীরোগ জাতি উপহার দিবো।”
তিনি আরো বলেন, আপনি কি আপনার বাচ্চাকে জিনিয়াস হিসাবে গড়ে তুলতে চান? তাহলে আপনার বাচ্চা কে প্রাণায়াম যোগ শিক্ষা দিন।
শিশুদের জন্য যোগব্যায়াম খানিকটা আলাদা ধরনের হয়ে থাকে। খেলতে খেলতেই সব শেখে ওরা। শ্বাসপ্রশ্বাসের নিয়মকানুন থেকে শুরু করে যোগব্যায়ামের দেহভঙ্গি, ধ্যান—সবই শেখানো হয় খেলার ছলে।
কেন আমরা যোগ করবো?
নিজের সুস্থতার জন্য, নিরোগ থাকার জন্য, মনকে বদলানোর জন্য, স্লিম হওয়াজ জন্য, নিজেকে ফিট রাখতে যোগ করা দরকার। শিশু থেকে শুরু করে ছেলে, মেয়ে, বৃদ্ধরাও যোগ করবে।
আজকের দিনে শিশুদের জন্য বাইরে ছোটাছুটি, দৌড়ঝাঁপ করার সুযোগ কম। যোগব্যায়ামে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে। পেশি টানটান করার অনুশীলন হয়। মানসিক চাপ কমে। শিশুরা নানা ধরনের চাপে থাকতে পারে, যা তারা অনেক সময়ই প্রকাশ করতে পারে না। পরীক্ষার চাপ, চারপাশের অস্থিরতা, পারিবারিক অশান্তি, এমনকি নিজের শারীরিক সমস্যার কারণেও চাপে থাকতে পারে শিশু। ক্ষেত্রবিশেষে শিশু আগ্রাসী হয়ে ওঠে। যোগব্যায়ামে ধ্যানের ধারণা দেওয়া হয়। ফলে শিশু চিন্তাকে একদিকে কেন্দ্রীভূত করতে শেখে, শিশুর মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ে। মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে। ফলে শিশু প্রজ্ঞাবান, মেধাবী, সুপার পাওয়ার হয়ে উঠে ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা এমনটাই জানালেন।
প্রতিটি শিশুই খেলার ছলে নিজেকে নিজের মতো করেই শিখতে পারে। যোগ করলে অসুস্থ প্রতিযোগিতার মানসিকতা দূর হয়, শিশু মানসিকভাবে স্থির হয়, হতাশা দূর হয়। বিশেষত আমাদের সমাজে মায়েদের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস থাকাটা খুবই জরুরি। একটা বিশেষ কিছু করছি বা শিখছি, এ বোধটাও আসতে পারে শিশুর মধ্যে। আবার দলগত শিক্ষায় শিশু সবাইকে একসঙ্গে গ্রহণ করতে শেখে, সবার সঙ্গে মিলে অনুশীলনে উৎসাহ ও আগ্রহ পায়।
তাই আপনার স্নেহের সন্তান কে যোগ শিক্ষা দিন।