বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
সরকার পতন হলেও পতন হয়নি দেশের কালোবাজারি সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বরং এখনো তারা সক্রিয় অবস্থানে দেশের পরিস্থিতির অজুহাতে প্রতিনিয়ত বাড়াচ্ছে জিনিসপত্রের দাম। নিম্ন মধ্যম দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিত ক্ষোভের সাথে বলেছেন ছাত্র জনতা সমন্বয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পলায়নের মাধ্যমে নতুন করে দ্বিতীয় বারের মতন দেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও এখনো প্রতিফলন ঘটেনি মধ্যবিত্ত নিম্ন আয়ের দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষের। কারণ যত দ্রুত সম্ভব দেশে ঘাপটি মেরে থাকা সিন্ডিকেট আমলাতান্ত্রিক অসাধু কালোবাজারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন রুখে দিয়ে সকল ধরনের দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের মধ্যে এনে সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদার জায়গায় স্বস্তি ফিরিয়ে এনে দিতে পারলে তবেই দেশ পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা অর্জন করবে।
আর সরকার পদত্যাগের পর থেকেই বিজয় উল্লাসের পাশাপাশি সাধারণ নিম্ন শ্রেণীর খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের পুঞ্জিত ক্ষোভ বহিঃপ্রকাশ করে তারা বলেছে সবার আগে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমান সাথে কৃষকদের সকল ধরনের কৃষি পণ্যের দাম কুমিয়ে কৃষক বাঁচান। ১৭ বছর ধরে দেশে একের পর এক অজুহাত দেখিয়ে সকল ধরনের পণ্যর দাম প্রতিনিয়ত উর্ধ্বমুখি করেছে সরকারের সিন্ডিকেট বাহিনী। তবে প্রশস্ত হয়নি আমাদের আয়- রোজগারের পথ।
ফলে লেখাপড়া থেকে পিছিয়ে রয়েছে আমাদের সন্তানরা।
ফলে সরকারের রক্ত চক্ষুর ভয়ে জোড়ালো প্রতিবাদ করতে পারেনি সাধারণ মানুষ। তবে মাঝে মধ্যে অতি যন্ত্রণার কষ্টে প্রতিবাদ জানালেও সরকারের কান পর্যন্ত পৌঁছায়নি পৌঁছালেও লোক দেখানো বিবৃতি দিয়ে ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের রাখার কথা বলেছে কিন্তু দাম কমানোর কথা কখনো বলেনি। কারণ দেশের সকল ধরনের ঊর্ধ্বতন ব্যবসায়ীরা ছিল সরকারের অর্থ যোগানদাতা ফলে ব্যবসায়ীরা স্বেচ্ছাচারিতা খামখেয়ালি করে গ্যাস বিদ্যুৎ তেল, চিনি, আটা, ময়দা, পিয়াজ, রসুন, আদা, আলু সহ বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সকল পণ্য এবং দেশী উৎপাদন খাদ্য বস্তুুর ওপর হস্তক্ষেপ করেছে সিন্ডিকেট কর্তারা ফলে রাতারাতি দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। আর এ সকল সিন্ডিকেট বাহিনীদের মাথার ওপর বট বৃক্ষের ছায়া হয়ে সযত্নে আগলে রাখতেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও সরকার দলীয় উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতারা। তবে দেশের সরকার সহ তার মন্ত্রী পরিষদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও পালিয়ে যায়নি সে সকল অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী মহল বরং বীর দর্পের সাথে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কালোবাজারি ব্যবসা তার নমুনা স্বরূপ একদিকে ছাত্র জনতা রাজপথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল জনপদ অপরদিকে এ সকল প্রতারক অসাধু ব্যবসায়ীরা আন্দোলনের অজুহাতে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে অমূলকভাবে দাম বৃদ্ধি করেছে প্রতিটি নিত্য পণ্যের। পাশাপাশি এলপিজি বোতল জাত তরল গ্যাসের তারল্য সংকট দেখিয়ে আন্দোলনের মধ্যেই বোতলপ্রতি ১৩ টাকা দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তারা সাধারণ মানুষের মাথার উপর কাঁঠাল ভেঙে খাচ্ছে মিটারের ডিমান্ডচার্জ শুল্ক ভ্যাট সহ অন্যান্য খরচ দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা কারণ ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার স্থাপন করে জনগণের চোখে ধুলো দিয়ে অতি চাতুরতার সাথে দেশের সাধারণ মানুষদের বোকা বানিয়ে প্রতি নিয়ত অজস্র টাকা ভাগ বাটোয়ারা করেছে সংসদের কর্তারা। কারণ এক হাজার টাকা মিটার রিচার্জ করলে গ্রাহকরা ব্যবহারের জন্য মূল টাকা পাচ্ছে মাত্র ৬৪৫ থেকে ৬৫০ অর্থাৎ ১ হাজার টাকা রিচার্জ থেকে বিদ্যুৎ বিভাগ নিচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৫৫ টাকা টাকা তবে এ বিষয়ে দেশের সর্বমোহল বিভিন্ন কৌশলে বিদ্যুৎ বিভাগকে অবগত সহ দেশের বিভিন্ন টিকটকাররা টিক টক এর মাধ্যমে তাদের ব্যঙ্গ করলেও কোন সুফল পায়নি গ্রাহকরা। বরং নির্লজ্জকের মতন রাষ্ট্র শোষণ করেছে সরকারের সকল সেক্টরের বাহিনীরা। ১৮০ টাকা জমির খাজনা দিতে গেলে খরচ হয় এক হাজার থেকে বারোশো টাকা। তাছাড়া সরকারি যে কোনো দপ্তরে ছোটখাটো কোন কাজ করতে গেলেও পকেট থেকে দুই তিন হাজার টাকা মুহূর্তের মধ্য নাই হয়ে যায়। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ সময় দেশের সকল সেক্টরে চলেছে অরাজকতা ফলে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের। এদিকে নিরুপায় হয়ে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে ঠেকে পড়ে হলেও কাজ করতে হয়েছে জনগণের। পাশাপাশি দেশের সর্ব ক্ষেত্রে সরকারের ছাত্র ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের সর্বক্ষেত্রে ছিল অবাধ চাঁদাবাজি। জমি বেচাকেনা থেকে শুরু করে বাড়িঘর তৈরি করা ব্যবসা পরিচালনা সহ সকল ক্ষেত্রে এলাকার প্রভাবশালী থেকে পাতি নেতাদের পর্যন্ত চাঁদা দেওয়াটা বাধ্যতামূলক। তবে সবকিছু যেমন তেমন দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কষ্টের পাথর বুকে এখনো আটকে রয়েছে যতদিন পর্যন্ত দেশের শীর্ষস্থান থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসৎ কালো বাজারী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কঠোর হাতে দমন করে সকল দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের মধ্যে এনে স্বস্তি না ফিরবে ততদিন কষ্টে থাকা খেটে খাওয়া মানুষের বুকে চাপা পাথর সরছেনা স্বস্তি ফিরছে না জনজীবনে। তাই দেশের মানুষের একটাই প্রত্যাশা নব সূর্য উদয়ের আগামী দিনগুলো ঘুষ দুর্নীতি চাঁদাবাজি কালোবাজারী সিন্ডিকেট মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় হোক আগামী দিনের পথ চলা।