মোঃরইস উদ্দীন রিপন স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ :
নারায়ণগঞ্জ-৫(বন্দর-সদর)আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন- আমার ভোট আমি দিবো,যাকে খুশি তাকে দিবো।কিন্তু,আমরা মাঝে মাঝে অতি উৎসাহী হয়ে নিরীহ ভোটারদের ভোট দিতে দেই না। আল্লাহর ওয়াস্তে এই কাজটি কেউ করবেন না।আপনারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের উৎসাহিত করবেন।দলের কর্মী বাহিনী হতে পারে কিন্তু,আমার কর্মী বাহিনী হচ্ছে এই(বন্দর-সদর)এলাকার মানুষ।আমি কখনো কোন দলের মার্কা দেখি নাই।যে এসেছে তার সাথেই কথা বলেছি।যেখানে সমস্যা সেখানেই উপস্থিত হয়েছি।সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থিত সেলিম ওসমানের উইসডম কারখানায় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার জন্যে জানিয়ে সেলিম ওসমান বলেন-আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবো এই নারায়ণগঞ্জ-৫(বন্দর-সদর) আসনে আমি সেলিম ওসমান ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে যতবার গিয়েছি অন্য কোন সংসদ সদস্য এতবার যায়নি।আমাকে কেউ ভালোবাসুক আর নাই বাসুক,তবে এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবাসে।আজ একটি দলের থেকে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন কিনলেন।দলের প্রধান কি এখন ১ জনকে মনোনয়ন দিয়ে ৫ জনকে হারাবেন।আমার মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভি বিভিন্ন সভায় বলেছেন-সেলিম ভাই জাতীয় পার্টিতে থাকতে পারেন না সেলিম ভাইয়ের মার্কাটা নৌকা করে দেয়া হোক।আমি জানি না এখনো কি হচ্ছে-১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত আপনাদের ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে,১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রচারণা শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন-আমরা কিন্তু এখনো মাঠে নামি নাই।সেলিম ওসমান চোর বাটপার না, আমি বিশ্বাস করি আপনাদের এই কথা শুনতে হবে না।সেলিম ওসমানের স্লোগান “হারাম খাবো না”হারাম খেতেও দিবো না”। নির্বাচন করার অধিকার সবার আছে আমরা কাউকে নির্বাচন করতে নিষেধ করছি না। আপনারা যদি ভোটারদের আকৃষ্ট করে ভোট দেয়ার জন্যে আনতে পারেন,তাহলে আপনাদের সেলিম ভাইয়ের জয় সুনিশ্চিত।
বিএনপির সমালোচনা করে সেলিম ওসমান বলেন-এখন দেশে যখন ব্যাপক উন্নয়ন চলছে,তখন শুরু হয়েছে আগুন সন্ত্রাস।জনগনকে তো আটকে রাখেতে পারছে না।নির্বাচনের জায়গায় নির্বাচন হবেই এবং সুষ্ঠ নির্বাচন হবে।কিসের অবরোধ,মানুষ এখন শক্ত হয়ে গেছে।কষ্ট করছে আমাদের দিন মজুর ভাইয়েরা,কষ্ট করছে শিক্ষার্থীরা।মায়েরা সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে।বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে আমরা ভয়ে থাকি স্কুল থেকে আসছে না কেন?আবার কিছু হলো নাকি?আগুন দিয়ে বাস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়,আগুন দিয়ে মানুষের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়,এগুলো কি ধরণের রাজনীতি?দেশের নাগরিকদের বিপদে ফেলছেন।নারায়ণগঞ্জকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন- নিয়মনীতি মেনে ভোটের মাধ্যমে আমরা জয়ী হবো”ইনশাআল্লাহ”।আমি যদি পুনরায় নির্বাচিত হতে পারি,তাহলে আমার ছোট বোন মেয়র ডাঃসেলিনা হায়াৎ আইভীর সাথে কথা বলে আমরা চেষ্টা করবো,নারায়ণগঞ্জকে মেট্রোপলিটন সিটি বানানোর।আমরা জরিপ করে দেখেছি ফুটপাতে যারা বসেন তার ৮০ ভাগ হচ্ছে আমাদের নারায়ণগঞ্জের বাইরের লোক।সুতরাং আমাদের পরিবারের সুবিধার্থে আমাদের কঠোর ভাবে এটাকে দমন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা সবাই মিলে কাজ করে”ইনশাআল্লাহ”নারায়ণগঞ্জকে আগের মতো প্রাচ্যের ড্যান্ডি রূপে ফিরিয়ে আনবো।সেলিম ওসমান বলেন-আমাদের ঈমান থাকতে হবে।বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে,জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে।তাদেরকে শয়তানে এসে হত্যা করে নাই, মানুষ রুপের শয়তানেরাই হত্যা করেছিলো।স্বার্থের জন্যে তাদের হত্যা করা হয়েছিলো।স্বার্থ যদি ত্যাগ করতে পারি তাহলেই আমরা শেখ হাসিনার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারবো।শেখ হাসিনা যেনো আবারও ক্ষমতায় আসে সেজন্য আমরা তার জন্য দোয়া করবো।তিনি আরো বলেন-কি কারনে, নারায়ণগঞ্জ-৫(বন্দর-সদর)আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হলো না তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।অনেকেই আবার বলছে আমি লাঙ্গলে নির্বাচন করবো নাকি নৌকায় করবো।আজ আমি লাঙ্গলে মনোনয়ন পেয়েছি।তবে মঙ্গলবার সবাই জেনে যাবেন আমি কোন মার্কায় নির্বাচন করছি।আমি সবসময় ডিজিটাল নিয়মে চলি।আমি হয়তো একমাত্র ব্যক্তি যে,জনগণের মতামত নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন-বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজীমউদ্দীন প্রধান,মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল,এনসিসি ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃআফজাল হোসেন,আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন,মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এম এ সালাম,ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃকামাল হোসেন,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ।