মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের ডাসারে সাবেক সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী এন্ড উইমেন্স কলেজ বর্তমান ডাসার সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়ে সরকারি নির্দেশনাকে অমান্য করে ৬ ছয়জন শিক্ষক ও একজন কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে উক্ত নিয়োগ গুলো দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক গন হলেন,
সৈয়দ অলিউর রহমান, সুধীব বসু বাপ্পি, রেবেকা পারভিন এ্যানি, নুরুন নাহার,হুমায়ুন কবির ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মোঃ মামুন।
তবে এ নিয়োগের বিষয় জানাজানি হলে অধ্যক্ষের কাছে সাংবাদিকগন তথ্য চাইলে উক্ত নিয়োগ কৃত শিক্ষকদের কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেন নি।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ নবেম্বর “শেখ হাসিনা একাডেমি এন্ড উইমেন্স কলেজ জাতীয়করন করার লক্ষ্যে একটি পরিপত্র জারি করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উক্ত পরিপত্রে উল্লেখ থাকে যে,নীতিগত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য উক্ত কলেজটির নিয়োগ, পদোন্নতি,স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর ইত্যাদির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ সহ স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি সরকার(সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়,বাংলাদেশ সরকারের) এর নিকট হস্তান্তর করার নিমিত্তে (রেজিস্টিকৃত দান পত্র দলিল) সম্পাদন করে মন্ত্রণালয় প্রেরণের জন্য নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করেন। পরিপত্র অনুযায়ী উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা উপেক্ষা করে তৎকালীন অধ্যক্ষ,ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অদৃশ্য শক্তির বলে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় উপরে উল্লেখিত শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়োগ প্রদান করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা উক্ত ঘটনার তথ্য সংগ্রহের জন্য সদ্যবিদায়ী অধ্যক্ষ ড.লুৎফর রহমান বলেন, উক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ফাইল পাইলেও, কোন কাগজ পত্র পাইনি।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ সচেতন মহল বলেন, মোটাঅংকের ঘুষ বানিজ্যের জন্যই সরকারের দেয়া পরিপত্র অমান্য করে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে অবৈধ নিয়োগের সাথে কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা সরাসরি জড়িত রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সদ্যবিদায়ী অধ্যক্ষ ড.লুৎফর রহমান বলেন, আমিও বিষয়টি শুনেছি। আমি এ নিয়োগের একটি ফাইল পেয়েছি, কিন্তু ওই ফাইলের ভিতর কোন কাগজ পত্র পাইনি।
নিয়োগ দেয়া তৎকালীন ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা বলেন, উপর মহলের মৌখিক নির্দেশনায় উক্ত নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি শুধু উপর মহলের আদেশ পালন করছি।