মোঃসাদ্দাম হোসেন ইকবাল,
ঝিকরগাছা উপজেলা প্রতিনিধী।
অনিয়ম দুর্নীতি আর মহাসড়কে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ করায় যশোরের শার্শায় গ্রামের কন্ঠ পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক আসাদুর রহমানকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা নাভারণ হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট বহু অপকর্মের হোতা রফিকুল ইসলাম রফিককে ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই ক্লোজ করা হয়েছে।
২ জুলাই (রবিবার) সকালে রফিককে যশোর পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশের এএসপি ইমরান হাশমী।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে হামলার শিকার সাংবাদিক আসাদ শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে এমন ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে শার্শা, ঝিকরগাছা উপজেলার সাংবাদিক সমাজ। তারা রফিকের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দিয়েছেন।
বিডিনিউজ এর বেনাপোল প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ক্লোজ করা কোন শাস্তি নয়। হামলাকারীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেন তিনি।
সাংবাদিক ওসমান বলেন, হামলার ঘটনা শুনে আমি সাথে সাথে সেখানে ছুটে যাই। যেয়ে দেখি আসাদকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। সার্জেন্ট রফিক মীমাংসার কথা বলে আসাদকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে এমন মারধর করেছে। আমরা ওই হামলাকারীর কঠিন শাস্তি চাই। আর না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
ঝিকরগাছা রির্পোটার্স ক্লাবের সভাপতি আশরাফুজ্জামান বাবু বলেন, আমার কোন সহকর্মী ভাইয়ের গায়ে কেউ আঘাত করলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না। আইনের লোক হয়ে কিভাবে রফিক এমন বেআইনি কাজ করতে পারে? তার হাত কত লম্বা? আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং হামলাকারী সার্জেন্ট রফিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এবিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ আকিকুল ইসলাম জানান, এ হামলার ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য গত ০১ জুলাই শনিবার কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির নিউজ প্রকাশ হওয়ায় সার্জেন্ট রফিক ক্ষিপ্ত হয়ে রাতেই তিনি পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিককে মিমাংসার কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেন।