বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
দেশ এখন নীরব চাঁদাবাজির ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রতিষেধকের ভ্যাকসিন নিষ্ক্রিয়।
সর্ব মহলের অভিযোগ গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ- দুঃশাসনের অবসান ঘটার সাথে সাথে কতিপয় কিছু শ্রেণীর মানুষ মেতে ওঠে লুটপাট দখলদারী চাঁদাবাজির মতন নেককারজনক ধ্বংসলীলায়। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যবসায়ীসহ সাবেক ক্ষমতাশিন দল আওয়ামী লীগ পন্থীও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।ঘাট দখল, হাট দখল, এবং জমি দখলের মতন ঘটনা অব্যাহত রয়েছে সাথে বিদ্যমান রয়েছে নীরব চাঁদাবাজি।
বর্তমান তথাকথিত গোষ্ঠীর নীরব চাঁদাবাজির ক্যান্সারে আক্রান্ত দেশ।
দেশের সকল স্তরে ঘটছে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজির ঘটনা। বিস্তার করেছে শহর থেকে গ্রাম অঞ্চল পর্যন্ত এর মধ্য আক্রান্ত অধিকাংশ হিন্দু বুনিয়াদি পরিবার। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে ওই সকল ব্যক্তিদের টার্গেট করে ফোন দিয়ে বাসায় ডেকে নিয়ে বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে জীবননাশের হুমকি দিয়ে মোটা অংকের চাঁদাবাজির ঘটনা অহরহ ঘটেই চলছে। তবে প্রথম অবস্থায় প্রশাসন সহ সাধারণ মানুষের মনে ধারণা ছিল সংগঠিত ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে উগ্রবাদী টুকাই শ্রেণী ও জামাতপন্থীরা পরবর্তীতে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকা ব্যক্তিদের পরিচয় খোলসা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন এলাকা থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগরীর অনেক মানুষই অভিযোগ করে বলেছে বিএনপি’র চতুর্থসারীর কথিত নেতারা শহর জুড়ে চাঁদাবাজির ঘটনার সাথে অতপ্রতভাবে জড়িত থেকে দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এবং মিছিল মিটিং করতে অর্থ লাগবে অর্থের যোগান দেওয়ার কথা বলে দলের ভাবমূর্তি নস্যাৎ করে নিজের স্বার্থচরিতার্থ করতে মেতে উঠেছে। সর্বসাধারণের কথা এ অবস্থায় যদি দল থেকে এদের প্রতিহত না করে তাহলে সাধারণ মানুষের ধারণা দলের প্রতি তিক্ততা সৃষ্টি হবে।
পাশাপাশি নবগঠিত অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা দাতা হলফ করে বলেছিলেন দেশে চাঁদাবাজি থাকবে না। দখলদার থাকবে না। ধান্দাবাজ থাকবে না। দুর্নীতিবাজ থাকবে না। দেশের মানুষ তথা ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে শান্তিতে ঘুমাবে বুক ফুলিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করবে।
উপদেষ্টা প্রধানের নেতিবাচক আবেগের বক্তব্যর পৃষ্ঠা উল্টিয়ে রেখে দীর্ঘ ১৮ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা কতিপয় কিছু রাজনৈতিক নেতারা অন্দরমহল থেকে বেরিয়ে এসে উন্মাদ হয়েছে পরের অর্থ লালসায়। অথচ ওই সকল নেতাদের উচ্চপদস্থ দলীয় কোন পদ না থাকলেও আছে তাদের অবৈধ অস্ত্র আর এই সকল অস্ত্রের ভয় ও দলের নাম ভাঙ্গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে নিরীহ হিন্দু সম্প্রদায়সহ সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করছে মোটা অংকের চাঁদা। তবে এসব চাঁদাবাজদের নামের তালিকায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সূত্রে উঠে এসেছে এরা গত ৫ আগস্ট এর আগের দিন ও আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে ব্যক্তি সুবিধা নিতে জাতীয়তাবাদী দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে অতপ্রতভাবে চলাফেরা করেছে আওয়ামী লীগ দলীয় উচ্চপদস্থ নেতা এবং এলাকাভিত্তিক ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সাথে আর এ সকল ব্যক্তিদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষেত্রে কলুষিত করেছে শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শকে । অথচ এরা এখন আবার ভোল পাল্টিয়ে পূর্বের জায়গায় ফিরে বিএনপি’র নিম্ন পর্যায়ের চতুর্থ সারির এলাকা ভিত্তিক ছ্যাচরা নেতা পরিচয় পরিচিত হয়ে চাঁদাবাজি ধান্দাবাজি লুটপাট শুরু করেছে । ভুক্তভোগীরা ভয়ে মুখ না খুললেও বিভিন্ন সূত্র থেকে বেরিয়ে আসছে ঘটনার সত্যতা। আর এ সকল ধান্দাবাজ সুবিধাভোগী চতুর্থসারীর নেতাদের অপকর্মের কারণে ১৮ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বর্তমান দেশের হট ফেবারিট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একপর্যায়ে জনগণের আস্থার জায়গা অর্জন করতে সক্ষম হলেও কতিপয় এ ধরনের নেতাদের কারণেই ছিটকে পড়তে পারে বলে সর্ব মহলের ধারণা। তবে ওইসব ঘটনা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কারণে অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটার সুনির্দিষ্ট তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেশের সেনাবাহিনীর প্রধান অন্যান্য প্রশাসনিক বিভাগের উর্ধ্বতনকর্তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশজুড়ে পুনরায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের বিদ্যমান লুটপাট চাঁদাবাজি ধান্দাবাজি দখলদারি সহ অনাকাঙ্খিত ঘটনা রোধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে মাঠে নামছে বলে প্রশাসনিক সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশ জুড়ে সেনাবাহিনী অভিযানের মাধ্যমে প্রথম ধাপেই কতিপয় চাঁদাবাজদের কঠোর হাতে দমন করবে।তাছাড়া বিদ্যমান চাঁদাবাজদের বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা তুলে ধরে প্রশাসন মহল মন্তব্য করে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানিয়েছে বিগত সরকার যখন ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ থেকে পলায়ন করে ঠিক সেই মুহূর্তে লুটেরা রাজ্য সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ। আর ঠিক ওই মুহূর্তে প্রশাসন বিভিন্ন দাবি দাবা ও জীবন ঝুঁকির মধ্য থেকে অসংখ্য পুলিশের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফলে পুলিশ বিহীন হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেসামাল হয়ে উঠেছিল দেশের ধান্দাবাজ চাঁদাবাজ লুটেরা বাহিনী।তবে আগামী তিন চার সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ প্রকাশ্য অভিযানে নামতে যাচ্ছে। প্রশাসন মহলের পরিকল্পনাও মাহফিক রোড ম্যাপ অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ এর মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে দখলদার চাঁদাবাজ ভূমিদস্যু দুর্নীতিবাজ ঘুষখোরদের প্রতিহত করে দেশে বিলুপ্ত শান্তি ফিরিয়ে আনা হবে। কারণ প্রশাসন এতদিন আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করেছে নিজেদের কোন স্বাধীনতা ছিল না বিধায় দেশের প্রকাশ্য অনেক সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ পার পেয়ে গেছে এখন প্রশাসন জেগেছে কর্ম ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে তাই আমরা চেষ্টা করব সন্ত্রাস চাঁদাবাজ যে দলেরই অন্তর্ভুক্ত হোক না কেন দলমত নির্বিশেষে সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।