মিজানুর রহমান ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
ফরিদপুর সালথায় গত শুক্রবার বিকেলে যোগী ডাঙ্গা গ্রামের জয়নালের মুদির দোকানের সামনে ক্যারাম খেলা নিয়ে বড় লক্ষণ দিয়ে গ্রামের আজিজল মাতব্বরের ছেলে
আসাদ ও কাঠালবাড়িয়া গ্রামের ওমর আলী শেখের ছেলে নাজমুল শেখ এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়।
ওই ঘটনার জের ধরে রবিবার বিকালে উপজেলার কাঠালবাড়ি এলাকায় বড় লক্ষণ দিয়া – যোগীডাঙ্গা গ্রামের প্রায় দেড় হাজার লোকজন দেশীয় অস্ত্র ডাল সুরকি রামদা লাঠি সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয়রা জানান।দুই পক্ষ গতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলুর সমর্থক।
খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ৫৫ রাউন্ড
লেট ফোন ও ১০ রাউন্ড রাবার কার্তুস ফাঁকা ফায়ার করে লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান বড় লক্ষণ দিয়ে লোকজন কাঠালবাড়িয়া গ্রামের ওমর আলী শেখ ও সৈয়দ আলী শেখের বাড়িতে হামলা চালায়।সৈয়দ আলী শেখের ১ টি গোয়াল ঘর ও ১ টি রান্না ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় ও ৪ টি গরু নিয়ে যায়। এছাড়া ওমর আলী শেখের টিনের ঘরের বেড়া ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। ওমর আলী শেখের ১ টি রান্নাঘর,১ টি পেঁয়াজের ঘর ও ২ টি খেড়ের পালায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
আগুন লাগার খবর পেয়ে সালথা ফায়ার সার্ভিস ঘটনা স্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গট্রি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাভলু বলেন সংঘর্ষের খবর শুনেছি সত্যি এ ঘটনায় কোন ভাবেই আমি জড়িত না। দুই গ্রুপের লোকজন আমার সমর্থক।
এ বিষয়ে নগরকান্দা সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনা স্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।পরবর্তীতে সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।