নজরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি:
নোটিশ ও দরপত্র ছাড়াই ৩টি কাজ করে বিল উত্তোলনের পাঁয়তারা করছে সিরাজগঞ্জের স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কার্যাদেশ ছাড়া তাড়াহুড়া করে এ প্রকল্পে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করায় জনমনে নানান প্রশ্ন জেগে উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণের আওতায় জেলায় জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের আওতায় তিনটি রাস্তার কাজ বাস্তবায়নে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (রক্ষণাবেক্ষণ) আগারগাঁও শেরে বাংলা নগর ঢাকা-১২০৭ থেকে দরপত্র আহ্বান করার জন্য কামারখন্দ উপজেলার বারাঙ্গা কবরস্থান-ঝাঐল ইউপি অফিস থেকে চালা জামে মসজিদ রাস্তায় ২২০মিটার একই রাস্তায় আরো ২২৬মিটার এবং এনডিপি অফিস থেকে ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা-বাগবাটি কারিগরি কলেজ রাস্তায় ২৯৭ মিটার মোট ৩টি প্যাকেজের অনুমতি নেয়া হয়।
আরো জানা যায়, প্রত্যেক কাজের জন্য দরপত্রের নোটিশ প্রকাশ করা হয়। পরে এলজিইডি’র ঠিকাদাররা দরপত্রে অংশগ্রহণ করে। এরপর যোগ্যতা সম্পন্ন ঠিকাদার যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী। অথচ এ কাজে কোন রকমের নিয়ম অনুসরণ না করেই ভূতপূর্ব ভাবে কাজ শেষ করেছে সিরাজগঞ্জ এলজিইডি ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেড় মাস আগে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে অথচ সেই রাস্তায় আবার নতুন প্রকল্পে দিয়ে কাজ করা হয়েছে। রাস্তার দু’পাশেই মাটির কাজও দেখতে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় দোকানদার আব্দুল হান্নান জানান, কয়দিন আগেই এই রাস্তায় কাজ হয়েছে, আমরা আবার টেন্ডার হয়েছে কিনা কিছুই জানিনা, কিছু লেবার দিয়ে তাড়াহুড়া করে খারাপ ইট ব্যবহার করে ইটের কাজ করা হয়েছে। আমরা মনে করছি, এই কাজ নতুন রাস্তার কাজের সঙ্গেই ধরা ছিল। সে আরও জানায়, কোন প্রকার মাটির কাজ ছাড়াই এখানে ইটের কাজ করা হয়েছে।
প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা আকতার হোসেন মিস্ত্রী জানান, কাজটি তরুণ ঠিকাদারের মাধ্যমে আমি গত মাসে এই রাস্তায় ইটের কাজ করে শেষ করেছি।
টেন্ডার ছাড়াই কাজের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুলাহ আল মামুন জানান, আমি এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না।
টেন্ডার ছাড়াই কাজের বিষয়ে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সাবের আলী জানান, এখানে দরপত্র ছাড়া নিন্ম মানের ইটের কাজ হয়েছে, এ কাজে কোনো নোটিশ হয়নি, এ জন্য দরপত্রও হয়নি, কার্যাদেশ হয়নি । তরিগড়ি করে আমাকে পূর্বের তারিখ ব্যবহার করতে বলায় আমি বিস্তারিত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষে অবহিত করেছি।
টেন্ডার ছাড়াই কাজের নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম জানান, ওখানে কাজও করিনি, এজন্য বিলও প্রদান করিনি।
টেন্ডার ছাড়াই কাজের বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নবীউল ইসলাম জানান, আমরা ওনার বিষয়ে অনেক অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।