নজরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলামের নানা অনিয়ম, সিমাহীন দুর্নীতি ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বার বার তিরস্কার এ যেন পিছু ছাড়ছে না। মৃত ব্যক্তির নামে টাকা উত্তোলনের বিষয় প্রমান মিললেও বার বার পুন:তদন্ত চালিয়ে সত্যকে মিথ্যা বানানোর নানা কৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন এই নির্বাহী প্রকৌশলী। এদিকে সংবাদ ও তদন্ত ঠেকাতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঁঝাপ করছেন।
জানা যায়, গত অর্থ বছরে প্রকৌশলীর অদক্ষতায় ২৭ কোটি টাকা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে সিরাজগঞ্জবাসী। এছাড়া খাল খননে মৃত ব্যক্তির নামে স্বাক্ষর ও ভুয়া মাষ্টার রোল বানিয়ে কোটি টাকা উত্তোলন এবং জেলার একাধিক রাস্তায় নিম্ন মানের কাজ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন ছাড়াই কোটি কোটি টাকার বিল প্রদানে অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন এ নির্বাহী প্রকৌশলী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর খাল খননে মৃত ব্যক্তির নামে টাকা উত্তোলনে নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজশ পায় তদন্ত কমিটি এছাড়া গত ১৭ জুলাই দুদক আঞ্চলিক পাবনা অফিসও সরজমিনে তদন্তে অনিয়ম পায়। যা দুদকের মামলা অনুমোদন জন্য প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্তে ২৫ সেপ্টেম্বর তাড়াশ বারুহাস ও তাড়াশ কুন্দাইল রাস্তায় ১২ কোটি টাকা কাজের তদন্তে অনিয়ম পায় । অনিয়মের প্রমাণ মেলায়
আজও প্রতিবেদন উর্ধ্বতন অফিসে জমা দেয়নি পাবনা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নবীউল ইসলাম।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নবীউল ইসলামের সঙ্গে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কয়েকটি তদন্তের মধ্যে একটি রাস্তার তদন্ত জমা দেওয়া হচ্ছে। আর ভদ্রাবতী খালের পুনঃ তদন্ত আগামী সপ্তাহে করা হবে।
ঠিকাদার কবির তালুকদার জানান, নির্বাহী প্রকৌশলীর মামা হচ্ছে বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী। এ কথাই তো নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম বলে বেড়াচ্ছে। তিনি আরও জানান, নবীউল ইসলামের সঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলীর গোপন আঁতাত আছে কিনা সন্দিহান। নবিউল ইসলামের অতীত রেকর্ডও ভালো না। তার নামেও হয়েছিল মামলা।
তিনি আরো জানান, নির্বাহী প্রকৌশলীর অদক্ষতায় গত অর্থবছরে সিরাজগঞ্জবাসী ২৭ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বঞ্চিত হয়েছে।
রাজশাহী আঞ্চলিক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জুলফিকার আলী জানান, তদন্ত প্রতিবেদন আমার অফিসে জমা হয়নি।
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আলী আক্তারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।