ঢাকাMonday , 2 September 2024
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সুনামগঞ্জে বরইউড়ি আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ।

দেশ চ্যানেল
September 2, 2024 12:23 pm
Link Copied!

হাফিজ সেলিম আহমদ, স্টাফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বরইউড়ি দারুসুন্নাত বহুমুখী আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ হোসেন কবিরের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার সকালে মাদ্রাসায় হল রুমে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষদের সমন্বয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অভিযোগ তদন্তের জন্য কলাউড়া ফাজিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুস ছাত্তারকে প্রধান করে ৭সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্যরা হলেন-ডা.হারুনুর রশিদ, আজহারুল ইসলাম, মাওলানা অহিদুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম শিক্ষার্থী হারুন অর রশিদ, মানিক মিয়া প্রমুখ। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানান, বিভিন্ন শ্রেণিতে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়, ফরম ফিলাপ, রেজিষ্ট্রেশন ফিস, পরীক্ষার ফিস, প্রবেশ পত্রসহ বিভিন্ন নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়, প্রিন্সিপাল নিজের পছন্দের ছাত্রদের ছাত্র সংসদের দায়িত্ব দিতেন। যারা বিরোধিতা করতো তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি, নির্যাতন ও বহিষ্কার করার হুমকি দিতেন। মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মরহুম রমিজ উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা রমিজ উদ্দিনকে জোরপূর্বক অবসর পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আমার বাবার অবসরজনিত টাকা উত্তোলন করতে গেলে প্রিন্সিপাল সৈয়দ হোসেন টাকা উত্তোলনের বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেছেন তবে উপকার করেননি

নরসিংপুর  ইউনিয়নের বিছঙ্গের গাও গ্রামের আব্দুল গফুর অভিযোগ করে বলেন, নবম শ্রেণির সনদ দেওয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে জাল সনদ প্রদান করেছেন। পালইছড়া গ্রামের আজহারুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক দফায় ৫লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করলেও চাকরি দেননি। টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। ঝুমগাও গ্রামের সেলিম আহমেদ অভিযোগ করেন, প্রিন্সিপাল সৈয়দ হোসেন কবির শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে মানুষ পাচারের ব্যবসা করেন। তিনি আমাকে ইউরোপে পটানোর কথা বলে ভুয়া ভিসা ভুয়া টিকেট দিয়ে আমাকে এয়ারপোর্টে পাঠিয়ে তাঁর মোবাইল বন্ধ করে দেয়, পরে থানার সহযোগিতায় আমি কিছু টাকা তার থেকে আদায় করতে পারি। এখনো আমি ৭৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, মাদ্রাসার পুকুর প্রতি বছর ৭হাজার টাকা লিজ দিয়ে টাকা উত্তোলন করে নিজ পকেটে রেখেছেন সৈয়দ হোসেন। দীর্ঘ বছর পুকুর লিজের টাকা মাদ্রাসা তহবিলে জমা না দেওয়ার অভিযোগ। শিক্ষকদের বেসরকারি বেতন ভাতা না দিয়ে একাই ভোগ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বড়ইউড়ি আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ হোসেন কবির বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার, তদন্ত কমিটির তদন্তে সত্যতা পাওয়া যাবে।  তদন্ত কমিটির প্রধান মাওলানা আব্দুস ছাত্তার জানান, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন এলাকাবাসীর সামনে উপস্থাপন করা হবে।

সুনামগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বিস্তারিত আমার জানা নেই তবে তদন্ত কমিটির তদন্ত  প্রতিবেদন পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST