মো:,জাকির হোসেন নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রতীকী গণ অনশণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে জেলা বিএনপি অফিসের সামনে এর আয়োজন করা হয়। সকাল সাথে ১০ টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপি সহ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা ও মুক্তির দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। এতে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবী জানানো হয়।
সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম স্বপ্না। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু।
বক্তব্য বলেন, সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এ্যাডভোকেট এস এম ওবায়দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর শাহীন আকতার শাহীন, অন্যতম নেতা সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র জিয়াউল হক, প্রভাষক শওকত হায়াত শাহ, শফিকুল ইসলাম জনি, বজলার রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলন সরকার, আব্দুল হাফিজ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক, জাহাঙ্গীর আলম ও এম এ পারভেজ লিটন।
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও শরিফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আবিদ হোসেন লাড্ডান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক গুলশান আরা বাবলী, যুব বিষয়ক সম্পাদক তারিক আজিজ, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক আবু সরকার, উপদেষ্টা সদস্য মতিয়ার রহমান দুলু, জাসাস সভাপতি হামিদুল ইসলাম, সাবেক এমপি ও পৌর মেয়র মরহুম আমজাদ হোসেন সরকারের একমাত্র সন্তান রিয়াদ আহসান সরকার রানা।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম ডালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইবনে সাইদ সুজন, সৈয়দপুর উপজেলা সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান কার্জন, পৌর সাধারণ সম্পাদক শেখ বাবলু, খাতামধুপুর ইউনিয়ন সভাপতি আনিসুল চৌধুরী, মটর শ্রমিক নেতা হাফিজুল ইসলাম।
এছাড়াও জেলা যুবদল সদস্য সচিব পারভেজ আলম গুড্ডু, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আরমান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক রাব্বি, কৃষকদল সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বসুনিয়া মিজু ও সাধারণ সম্পাদক সাদেদুজ্জামান সরকার দিনার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সরকার সবদিক দিয়েই সীমা অতিক্রম করেছে। শোষণ-বঞ্চনা, লুট-দূর্ণীতি, হামলা-মামলাসহ রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত সামাজ্রবাদী আচরণ, অনৈতিক ও প্রতিহিংসা পরায়ণ কর্মকাণ্ডে দ্বারা তারা আজ বিশ্বব্যাপী ঘৃণিত, অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়েছেন। বেহায়া ও স্বৈরাচারী এই ডিজিটাল বাকশালীরা তারপরও জনগণের কথা না ভেবে সব অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে।
যারা জনগণকে সার্বিকভাবে চলতে দেয়না তাদের বিতারিত করতে বিএনপি আন্দোলন করছে। অহিংস আন্দোলন কর্মসূচীর ভাষা বুজে যদি সরকার দ্রুত পদত্যাগ না করে তাহলে আগামী ২৮ তারিখের পর সর্বাত্মক সংগ্রাম শুরু হবে। তখন লাঠি বাঁশ হাতে জনগণকে সাথে নিয়ে মেরে বিদায় করা হবে এই মাফিয়া লুটেরাদেরকে। তাই বাঁচতে চাইলে অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান।