হাতিয়াতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ

Spread the love

রাশেদুল ইসলাম নোয়াখালী

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হাজী মোহাম্মদ আলী( ৫২) নামে একজন কে গাছের সাথে বেঁধে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার জামাল উদ্দিন ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে।
এই ব্যাপারের আহত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী কহিনুর বেগম বাদী হয়ে হাতিয়া থানাতে মামলা করে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২ জুলাই দুপর ২টার সময় হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে। মোহাম্মদ আলী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় , পূর্ব বিরোধের জেরে তারা তাকে গাছের সাথে বেঁধে হত্যার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
মামলার এজাহারে প্রথম আসামি জামাল উদ্দিনের ছেলে নোমান উদ্দিন (২৭),তাওহিদুর রহমান সুমন (৩০) মাসুম বিল্লাহ (২৩)। তাছাড়া আসামিদের মধ্যে নাম না জানা অনেকে রয়েছে বলে আমাদের কে জানিয়েছেন মোহাম্মদ আলীর পরিবার । এজাহারে আরো বলা হয়েছে – আহত মোহাম্মদ আলী নামাজ পড়ে আসার সময় জামালের বাড়ির সামনে রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়া সময় পূর্ব পরিকল্পনার জের ধরে তাকে গাছের সাথে বেঁধে এবং দা বগি,লাঠি, রড, সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে পিটতে থাকে। এক পর্যায়ে মোহাম্মদ আলীর চিৎকার শুনে এলাকা বাসীর ভীড় হলে – পা কুপিয়ে এবং গুরুত্ব আহত করে চলে যায়।
এই সময় স্থানীয় কয়েকজন জানান -আমাকে বাঁচান চিৎকার শুনে তারা ছুটে আসে , এবং তাদের হাত থেকে প্রাণ রক্ষা করেন মোহাম্মদ আলীকে।
জানা যায়, অভিযোগকৃত জামাল উদ্দিন মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী কহিনুর বেগমের সম্পর্কে আপন ভাই বোন হয়। তাদের মধ্যে বাড়ির সীমানা নিয়ে পূর্ব থেকেই এই বিরোধ চলে আসছে । এ নিয়ে অনেকবার গ্রাম পর্যায়ে শালিসি বৈঠকের কথা বলা হলে কিন্তু জামাল উদ্দিন বসতে নারাজ বলে জানিয়েছেন কহিনুর বেগম।

সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মেম্বারের সাথে কথা হলে তিনি জানান – মোহাম্মদ আলীর উপর এই ঘটনাটা হলো কল্পনা বিহীন। আমার জানা মতে এদের সাথে পূর্ব শত্রুতা ছিল। তাকে গাছের সাথে বেঁধে এমন নির্যাতন করছে। আর এই যুগে কি এরকম কিছুই আছে? এর উপর অমানবিক নির্যাতন হয়েছে।

এই ব্যাপারে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মো:মনসুর মিয়া জানিয়েছেন- আমরা তদন্ত করতেছি যেহেতু এটা বড় একটা ঘটনা, সেক্ষেত্রে আমরা তদন্ত শেষে আপনাদের কে জানাতে পারবো, এখনো পর্যন্ত আমরা যেসব তথ্য পাইছি, মোহাম্মদ আলীর উপর অমানবিক নির্যাতন হয়েছে যা আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি।তবু সত্যতা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।

অন্য দিকে হাতিয়া থানার সার্কেল অফিসার মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানান- এই বিষয়ে মামলা হয়েছে তদন্ত চলমান, ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে আসামি বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *