বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
মধ্য আষাঢ়ের ব্যবসা ধরনের খুলনায় বৃষ্টির কোনো দেখা নাই
চলতি বছর গ্রীষ্মের আগমনের শুরুতেই বিগত বহু দিনের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে উগ্রতাপাদহে প্রকৃতি প্রাণীকূল সহ সকল ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাবে কৃষকসহ সাধারণ জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষণীয় মাত্রায়। তবে দীর্ঘদিন পর গেল সপ্তাহে মাত্র দুদিনের কানামাছি খেলা বৃষ্টির দেখা মিললেও সাথে উচ্চগতি ঝড়ো হাওয়ায় খুলনা বাগেরহাটের অনেক মানুষদের সর্বশান্ত করে যাওয়ার পর ফের ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে তাপপ্রবাহ। আর এই দগ্ধ গরম এবছর কিছুতেই প্রকৃতি ও মানুষের পিছু ছাড়ছে না। অথচ ভরা বর্ষার মৌসুম আষাঢ়ের মধ্যভাগ অতিবাহিত হতে চলেছে কিন্তু ঋতুর অবলীলায় খুলনার আকাশে কোথাও মেঘের দেখা নাই।
সাথে বেড়েই চলেছে ওষ্টাগত ভ্যাপসা গরম। পাশাপাশি সারাদেশের সাথে খুলনায়ও পাল্লা দিয়ে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং অপরদিকে রাসেল ভাইপার আতঙ্ক।
ফলে সব কিছু মিলে জনজীবন অসহনীয় যন্ত্রণার রাহু গ্রাসে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। আর এতে করে বিভিন্ন ধরনের নিত্যনতুন রোগ উপসর্গ আক্রান্ত হচ্ছে মানবদেহে। আর এতে অল্প স্বল্প চিকিৎসায় সুস্থ হতে না পেরে অবশেষে ভর্তি হতে হচ্ছে হাসপাতালে। আর এ সকল নানাবিধ রোগে আক্রান্তর মধ্য বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা। চিকিৎসকদের ধারণা অতিরিক্ত ভ্যাপসা গরম সময় মত ঋতু পরিবর্তনে বৃষ্টি বাদল না হওয়া এবং কৃত্রিম উপায়ে রাসায়নিক দ্রব্য দ্বারা ফসলাদি ফলানোর কারণে সেসব খাদ্যবস্তুু খাওয়ার কারণে মানবদেহে নানা ধরনের অজানা রোগ বাসা বাঁধছে ফলে আমাদেরও রোগীদের চিকিৎসা দিতে পড়তে হচ্ছে নানান সমস্যায়।
অপরদিকে গেল সপ্তার শেষ নাগাদ খুলনা বিভাগীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠকর্তা আমিরুল আজাদ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলেছিলেন ২৫ জুনের পর থেকে সারাদেশের সাথে খুলনা বিভাগের সব কয়টি জেলায় তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পাবে সাথে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে কিন্তু আজ ২৬ জুন পড়ন্ত দুপুরের দিকে ও আকাশে মেঘ নাই বরং গরমে পুড়ছে খুলনা বিভাগ চলমান তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছে আজ কালের মধ্য প্রবাহমান তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমবে সাথে বঙ্গোপসাগরে মেঘের সমাগম বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃষ্টির আগমনীর প্রতীক্ষায় রয়েছে প্রকৃতি। পূর্বাভাসে আরো জানিয়েছেন দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে এদিকে দেশের দশটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। তাই সেসব এলাকার নদী বন্দর গুলোতে তোলা হয়েছে এক নম্বর সংকেত।
এবং বিভাগের অনেক জায়গার ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বজ্র বৃষ্টি হতে পারে ফলে গরমের উত্তপ্ত থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে পাবে জনজীবন।