মোঃ আশরাফুল ইসলাম,মানিকগঞ্জ.
অবশেষে টানা আট দিন পর উদ্ধার হয়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরি ‘রজনীগন্ধা’। পদ্মার প্রায় ৫০ ফুট পানির নিচ থেকে ফেরিটি উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে বিআইডব্লিউটি এর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।এছাড়াও উদ্ধার সম্পন্ন হয়েছে ফেরির সঙ্গে ডুবে যাওয়া ৯টি যানবাহন।
বুধবার (২৪শে জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডুবে যাওয়া ফেরিটিকে সম্পূর্ণরূপে পানির উপর ভাসিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের ভাটিতে নয়াকান্দি তীরে নিয়ে রাখা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নৌ বাহিনীর ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরান বলেন, নৌ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দলের সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করে প্রায় ৫০ ফুট পানির নিচে থাকা ফেরিটি উঠিয়ে ভাসমান অবস্থায় ইয়ার লিফটিং ব্যাগ ও ওয়্যার রোপ (শক্তিশালী তামার তার) দিয়ে ধরে রাখা হয়।
অন্যদিকে, এ ঘটনায় নিখোঁজ ফেরির সেকেন্ড ড্রাইভার হুমায়ুন কবিরের মরদেহ উদ্ধার হয় ফেরি ডুবির ৬ দিন পর। পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার ভাটিতে হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মায় ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ডুবুরি দল ও উদ্ধার কর্মীদের যৌথ প্রচেষ্টায় নান প্রতিকুলতার মধ্যে পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে এই ফেরিটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধার কার্যাক্রম ইউনিট প্রধান বিআইডব্লিউটি এর অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুস সালাম ।
পদ্মায় ফেরিটি ডুবে যাওয়ার সময় তীব্র স্রোতের কারণে পানির নীচে গিয়ে ফেরিটি উল্টে যায়। এ অবস্থায় গত এক সপ্তাহে পলি পড়ে ফেরিটির ওজন আরও বেড়ে যায়। ২৪০ টন ওজনের ফেরিটি ৩০০ টন ছাড়িয়ে যায়। ফলে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম ফেরিটি তুলতে ব্যর্থ হলে ঘটনার দুদিন পর উদ্ধারকাজে যুক্ত করা হয় বিআইডব্লিবউটিএরর শক্তিশালী উদ্ধার জাহাজ প্রত্যয়।ফেরিটি উদ্ধার করতে পলি অপসারণ, উল্টো ফেরিটিকে সোজা করাসহ নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে।
উল্লেখ্যযে, এর আগে গত ১৭ ই জানুয়ারি সকালে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রী, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপসহ ডুবে যায় ফেরি রজনীগন্ধা । ফেরিটি দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়ায় আসার সময় ৫ নং ঘাটের কাছাকাছি এসে ডুবে যায়। ফেরিটিতে ৭টি ছোট ট্রাক ও ২টি বড় ট্রাক ছিল।