জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার কলেজ পাড়ায় অবস্থিত একটি নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদাবাজি ও নির্মান শ্রমিকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোঃ ওবায়দুল হক (সবুজ) এর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা এ্যাডঃ মোঃকামরুজ্জামান (কচি), এ্যাডভোকেট, লিখিত অভিযোগে এ তথ্য জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোঃ কামরুজ্জামান লোহাগড়া পৌরসভায় তাঁর মালিকানাধীন ৩০.৪৩ শতাংশ ভূমিতে দুই তলা ভবন নির্মাণ করছেন। এর তত্ত্বাবধায়ক ও ইন্জিঃ হিসাবে(চেয়ারম্যান নির্মাণ আর্কিটেকচারাল) রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তাইবুল হাসান। গত ১ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর আনুমানিক ২.৩০ ঘটিকায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোঃ ওবায়দুল হক (সবুজ) জোরপূর্বক নির্মাণস্থলে প্রবেশ করে শ্রমিকদের ভয়ভীতি ও মারপিট করে কাজ বন্ধ করে দেন।
ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা লোহাগড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, লোহাগড়া থানার জিডি নং- ৭৩১, তারিখ: ১৫/০৩/২০২৫ লোহাগড়া থানার জিডি নং- ৭৩২, তারিখ: ১৫/০৩/২০২৫ লোহাগড়া থানার জিডি নং- ৭০৩, তারিখ: ১৫/০৩/২০২৫ লোহাগড়া থানার জিডি নং- ৭৩৪, তারিখ: ১৫/০৩/২০২৫। ইন্জিঃ তাইবুল হাসান ৪-৩-২৫ তারিখে নড়াইল আর্মি ক্যাম্পে ওই অবসরপ্রাপ্ত মেজর ওবায়দুরের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং নড়াইল আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং-৩২/২৫(এল)।
স্বজনরা জানান অবসরপ্রাপ্ত মেজর ওবায়দুল হক সেনাবাহিনীতে চাকরির সময় আর্থিক অনিয়ম ও অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে ২০০৮ সালে চাকরি থেকে অব্যাহতি পান। তিনি বর্তমানে আর্থিক সংকটে রয়েছেন।
এঘটনায় ওই পরিবারের মেজর (অবঃ) ওবায়দুল হকের আপন বড় ভাই মোঃ জাকির হোসেন ও মেঝ ভাই এ্যাডঃ কামরুজ্জামান কচি সাথে কথা হলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমরা ওই লম্ফট অবঃ মেজর ওবায়দুর বিচারের দাবী করছি। তাছাড়া বিবাহ বর্হিভুত একাধিক নারী কেলেংকারীতে জড়িত। ইতি মধ্যে একটি ভিডিও সোসাল মিডিয়ায় ভেষে বেড়াচ্ছে।
অবঃ প্রাপ্ত মেজর মোঃ ওবায়দুল হকে সংগে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায় নাই। এমনকি তার মুঠো ফোনে (০১৯২৬৯৯০০৬০) একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এঘটনায় লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশিকুর রহমান সাথে কথা হলে তিনি বলেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নিবো।