পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে অবৈধপথে চা পাচারের সময় তোপেরমুখে পড়েছেন, সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের পাহাড়বাড়ি এলাকার এম. এম টি স্টেটের ব্যবস্থাপক সোহেল রানা।সোমবার রাতে হাড়িভাসা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া এলাকায় চা ভর্তি পিকআপসহ তোপেরমুখে পড়েন তিনি।পরে থানা পুলিশ গিয়ে চাসহ তাকে উদ্ধার করেন।
এর আগে, ৫০ বস্তা চা পাচারের উদ্দেশ্যে পিকআপটি ওই সড়কে ঢুকলে স্থানীয়রা আটক করেন।তারা জানান,বেপরোয়া গতির পিকআপটি গতিরোধ করলে জানা যায় এটি চা ভর্তি। চাগুলো অবৈধভাবে পাচার হচ্ছে নিশ্চিত হলে আটক করেন তারা।পরে কয়েকজন জনপ্রতিনিধিসহ পুলিশ যান সেখানে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন এম. এম টি স্টেটের ব্যবস্থাপক সোহেল রানা। তবে শেষ পর্যন্ত কোন বৈধতার কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি তিনি।স্থানীয়দের দাবি, প্রতিষ্ঠানটির অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নিলাম বহির্ভুতভাবে চা বিক্রির ফলে একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, অপরদিকে বঞ্চিত হচ্ছে মালিকপক্ষও।
চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়ে অনলাইন ভিত্তিক চা নিলাম কেন্দ্র রয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর নিলাম হবে। এজন্য কারখানাগুলো চা উৎপাদনের পর বাজারজাতের লক্ষে ওয়্যার হাউজে চা পৌঁছাবে। তবে কারখানা থেকে ওয়্যার হাউজে পৌঁছানোর জন্য বহনকারী গাড়িতে চালানসহ কাস্টমস কর্মকর্তার স্বাক্ষর সম্বলিত নথি রাখতে হবে।
ইউপি সদস্য সফিউল ইসলাম বলেন, রাতে অবৈধপথে পাচার হচ্ছিল চা। আমরা স্থানীয়দের সহায়তায় চা ভর্তি পিকআপটি আটক করি।সে সময় চালক কোন বৈধতার কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।প্রায় এক ঘন্টা পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ চালান নিয়ে আসেন। তবে সেখানে কাস্টমস অফিসের কোন কর্মকর্তার সীল-স্বাক্ষর ছিলোনা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এম. এম টি স্টেটের ব্যবস্থাপক সোহেল রানা বলেন, চাগুলো নিলামের জন্য ওয়্যার হাউজে নেয়া হচ্ছিলো এবং বৈধভাবেই।
পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায় জানান,পুলিশ অকশন বাজারে নেয়ার কাগজ দেখে সবার সম্মুখে পিকআপটি ছাড়ে দেয়া হয়।কাস্টমস অফিসের কর্মকর্তার সীল-স্বাক্ষরসহ কোন কাগজ না দেখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ জায়গায় নতুন, আর এ বিষয়টিতে অতটা ধারণা নাই।তবে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন তিনি।