ঢাকাFriday , 21 March 2025
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. চাকুরী
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল চবি ক্যাম্পাস।

দেশ চ্যানেল
March 21, 2025 1:15 am
Link Copied!

আবু তালহা রাফি, চবি

আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বক্তব্যের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার রাত ১টা ৪৫ মিনিটে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)- এর ছাত্রশিবির এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এসময়ে ‘আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করো, করতে হবে করতে হবে’ স্লোগান দিতে দিতে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি জিরো পয়েন্টে আসে।

বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী বক্তব্য প্রদান করেন চবির শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান। তিনি বলেন,

আপনারা জানেন বিগত ১৬-১৭ আওয়ামীলীগ কীভাবে জুলুম নির্যাতন করেছে, তারা আমাদের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, আমাদের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে, তারা ৭১-এর চেতনা বিক্রি করে দেশকে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল, তারা ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকান্ড চালিয়েছে, ২০১৩ সালে শাপলা চত্তরে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, ১৪ সালে ডামি নির্বাচন করেছে, ১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করেছে, আপনারা জানেন ২৪শে জুলাইয়ে কীভাবে তাদের পতন হয়েছে।  ইন্টেরিম সরকার জেনে রাখুন, এই জুলাই শহিদদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আপনারা ক্ষমতার স্বাদ নিচ্ছেন, এখন সুশীলগিরি দেখাচ্ছেন। আপনারা জেনে রাখুন জুলাইয়ের বিপ্লবীরা ঘুমায় নি, তারা আপনাদের সুশীলগিরি মেনে নিবে না। অনতিবিলম্ব আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। নচেৎ পরবর্তীতে আমাদের কার্যক্রম দেওয়া হবে, যদি আওয়ামীলীগ ফিরে আসে তাহলে এদের দ্বায়ী করবো, আপনারা আওয়ামীলীগকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে ৫ই আগষ্টের স্বৈরাচারের মতোই হবে, এখনো সবাই রক্ত দিতে প্রস্তুত আছে, শহিদদের সাথে বেইমানী হলে জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক, হাবিবউল্লাহ খালিদ বলেন: জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদদের রক্তের উপর ক্ষমতায় এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন পর্যন্ত জুলাই গণহত্যার কোন বিচার করে নি, বিডিআর বিদ্রোহের নাম করে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে হত্যা করেছিল, এখনো তার বিচার করা হয় নি, শাপলা চত্ত্বরের হত্যাকান্ডের বিচার এখনো করেনি। আওয়ামীলীগ এদেশের রাজনৈতিক অধিকার হারিয়েছে, যে দল তাদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে তারাই শহিদদের সাথে বিস্বাসঘাতকতা করবে,উপদেষ্টারাও যদি তাদের আশ্রয় প্রদানের চেষ্টা করে তারাও বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিচিত হবে। এই প্রজন্ম থাকতে আওয়ামীলীগ কখনোই ফিরে আসতে পারবে না, দরকার হলে আবার জুলাই বিপ্লব হবে, কাউকে ছাড় দিবো না, আমরা দেখতে পাচ্ছি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সক্রিয় হচ্ছে, তারা কর্মচারী, কর্মকর্তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় পাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীলীগের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। যে কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক, প্রশাসন ছাত্রলীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে, আমরা তাদের চিহ্নিত করে রাখছি, সময় মতো তাদের দাত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে, কোন ছাড় দেওয়া হবে না।

জুলাই আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা সাখাওয়াত হোসেন শিপন বলেন:

৭১ পরবর্তী ৭৫ সালে আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, তারা সবসময় ভারতের তাবেদারি করে এসেছে, এদেশের কোন উন্নয়ন করেনি। আওয়ামীলীগ প্রত্যেকের উপর অত্যাচার নির্যাতন করেছে, তাদের হাত থেকে কোন ধর্মের মানুষ রেহায় পায় নাই, ১৩ শাপলা নির্মমভাবে হত্যা, পিলখানার হত্যাকান্ড, জুলাই হত্যাকান্ড, এরকম প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের জন্য আওয়ামীলীগকে প্রত্যেকবার নিষিদ্ধ করতে হবে, শেখ হাসিনাকে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো আপনারা ভালো হয়ে যান। আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ না করলে টেনে হিছড়ে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে। আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

চবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী বলেন: ছাত্রজনতার জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী ৫ই আগষ্ট মাদার অফ কিলার এ দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল। এদেশের মানুষদের অনেক আশা আকাঙ্খা নিয়ে ইন্টেরিম সরকার গঠিত হয়েছিল,এদেশের মানুষ চেয়েছিলো এ সরকার মানুষের প্রত্যেক আশাকে পূরণ করবে, যারা অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল তারা তাদের অধিকার ফিরে পাবে। এসকল কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হওয়ার কথা ছিল হত্যাকারীদের বিচার করার কিন্তু ছাত্রসমতা যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয় অর্জন করেছে সেই ফ্যাসিস্টদের উল্লেখযোগ্য বিচার দেখতে পাচ্ছি না। যাদেরকে আমরা প্রশাসনের দায়িত্বে বসাইছি, তারা এখন সুশীল হয়ে বসে আছি, ছাত্রলীগের বিভিন্ন গুজবে মনে হচ্ছে ইন্টেরিম সরকার ভীত, বিচারের কোন নাম গন্ধ নেই।

যেই স্পিরিট নিয়ে সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার গঠিত হয়েছে, সেই সংস্কার থেকে অনেকে দূরে রয়েছে। স্পষ্ট করে বলতে চাই শুধু একটি নির্বাচনের জন্য হাজারো মানুষ জীবন দেয় নি, তারা একটি স্থায়ী বিপ্লবের জন্য জীবন দিয়েছিল। শহিদ আবু সাঈদ, শহিদ মুগ্ধ, শহিদ ফরহাদ, শহিদ হৃদয় তরুয়ারা মানুষদের মুক্তির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে। অথচ তারা গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর গুরুত্ব দিচ্ছে না, তাদের সংবিধান সংস্কারে মনোযোগ নেই, সংবিধান সংস্কার না হলে এ অভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে। এজন্য সংবিধান সংস্কার পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। এর মধ্যে সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে, খুনিদের বিচার করতে হবে। আমি সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে শহিদদের আমানতকে ধারণ করে সংগ্রাম চলমান রাখার অনুরোধ করছি, ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST