বিপ্লব সাহা,খুলনা ব্যুরো :
আজ ইতিহাসের বিভীষিকাময় রক্তাক্ত একুশে আগস্ট ২০০৪ সালের এই দিনে তৎকালীন ক্ষমতাশীন বিএনপি জামাত তথা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জোট রক্ত লালসায় লালায়িত হয়ে একদল মানবতাবিরোধী জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সাথে নিয়ে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের নাম গন্ধ নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল আর সেদিন থেকে এই দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে দেশের
উগ্রপন্থী স্বাধীনতা বিরোধী চক্রান্ত শক্তি জামাত বিএনপি’ জোট এদেশের স্বাধীনতা মুক্তি কামি জনতার সাথে কখনো ছিল না আজও নেই।
তার দৃষ্টান্ত ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সপরিবারে হত্যা সহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের সকল মানুষদের নিশ্চিহ্ন করে পাকিস্তানি পরা শক্তি পুনরাবৃত্তি করতে চেয়েছিল পাকিস্তানিদের দোষর জিয়াউর রহমান । তারই ধারাবাহিকতায় একের পর এক জিয়া পরিবার ও জামাত ইসলামের ইন্দনে দেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন মাথাচরা দিয়ে উঠেছিল।
এবং দেশের সকল যুব সমাজকে ইসলামের নামে অপসংস্কৃতি ও দেশদ্রোহী মানুষ খুনের রাজনীতি কায়েমের পাঁয়তারা শুরু করে একশ্রেণী যুবসমাজকে বিপদগামী ইসলাম বিরোধী নিষিদ্ধ পথে ধাবিত করে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস কে ভূলণ্ঠিত করতে চেয়েছিল।
এবং দেশের মূল্যবান স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ধ্বংসলীলায় মেতে উঠে ১৭ আগস্ট দেশ জুড়ে সিরিজ বোমা হামলা পরে ইতিহাসের বিভীষিকাময় রক্তাক্ত ২১ শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শেখ হাসিনার সমাবেশ তৎকালীন ক্ষমতাশিল বিএনপি জামাত জোটের নেতৃত্বে গ্রেনেড হামলা করে একটি নিসংসতম হত্যাযজ্ঞের অন্যতম স্মরণীয় দিন ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হিংসার দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। আক্রান্ত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু এ্যভিনিউস্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় আয়োজিত সমাবেশের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় শিকার হয়েছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ওই ঘটনায় দলীয় নেতা কর্মীরা মানববর্ম রচনা করে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করলেও গ্রেনেটের আঘাতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভীর রহমানের মতন ত্যাগী নেত্রী সহ দেশের তৃণমূল পর্যায়ে থেকে উচ্চ পর্যায়ের মোট ২৪ জন নেতা কর্মীদের প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জামাত বিএনপির লালসার শিকার হয়ে।
পরবর্তী সময়ে গ্রেনেড হামলার বিচারের রায়ে তৎকালীন ক্ষমতাশীন-বিএনপি জোট সরকারের মন্ত্রী ও সরকারের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলে যে ওই সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে
এই হামলাটি পরিচালিত হয়েছিল।
আজ ইতিহাসের এই জঘন্যতম গ্রেনেড হামলার ১৯ তম বার্ষিকীতে আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মর্মাহত দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
অতঃপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সুযোগ্য কন্যার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই সর্বপ্রথম স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষে থেকে যারা যুদ্ধ অপরাধে লিপ্ত ছিল এবং প্রকাশ্য রাজাকার খেতাবে চিহ্নিত থাকা সত্ত্বেও ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ ও ৩ লক্ষ মিরঙ্গনার সম্ভ্রমহানি এবং এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তথা পাকিস্তানি কর্তৃক বাংলার নির্যাতিত নিপীড়িত লাখো কোটি মানুষের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ ভূমিকা আপসহীন নেতৃত্ব বজ্রকণ্ঠের ৭ মার্চ এর রেসকোর্স ময়দানের বিশ্বকাপানো ঐতিহাসিক ভাষণে লাখো লাখো বাঙালি দেশ মাতৃকাকে মুক্ত করার লক্ষ্যে বীর বাঙালি অদম্য সাহসে রণাঙ্গনে নেমেছিল।
অথচ সেই স্বাধীন বাংলার বুকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামাত বিএনপি দেশের জনগণদের বোকা বানিয়ে জিয়াউর রহমান মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতায় এসে সর্বপ্রথম শেখ মুজিব হত্যার বিচার কৌশলে বন্ধ সহ আরো অনেক আইন এরিয়ে গিয়ে জিয়া তার নিজস্ব ক্ষমতা বলে পার্লারমেন্টে নতুন আইন পাস করে ক্ষমতায় বহাল থেকে রাজাকার বাহিনীদের নিয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি চিরস্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করার পায়তারায় মেতে উঠেছিল।
কিন্তু দেশের জনগণ তা মেনে নেয় নি।
কারণ ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের রক্তের দাগ শুকানোর আগেই হত্যাযজ্ঞের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে এদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষদের এদেশের স্বাধীনতা স্বপক্ষের মানুষদের অভিভাবক শূন্য করেছিল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে ইতিহাসের সব থেকে ঘৃণিততম নৃশংস হত্যাকান্ড।
সেদিন সমগ্র বাঙালি অভিভাবক হারিয়ে বোবা কান্নায় নিস্তব্ধ নিবিড়ে কেঁদেছিল।
আর এই নি নৃশংস হত্যাকারীদের দেশের জনগণ তো দূরের কথা বাংলা আকাশ বাতাস এদের ক্ষমা করেনি করবে না।