—ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা
আজ বিশ্ব হার্ট দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো-” ভালোবাসা দিয়ে প্রতিটি হৃদয়ের যত্ন নিন “।
যোগ হলো এক জীবন দর্শন, যোগ হলো এক জীবন পদ্ধতি, যোগ হলো ব্যাধিমুক্ত জীবনের সংকল্পনা।যোগ শুধুমাত্র এক বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি ই নয়, বরং যোগের প্রয়োগ পরিণামের ওপর আধারিত এক প্রমাণ যা ব্যাধিকে নির্মূল করে। হৃদ রোগ চিকিৎসায় প্রাণায়াম যোগ ব্যায়াম অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু শরীরেরই নয় সমস্ত মানসিক রোগের ও চিকিৎসা শাস্ত্র। যেখানে মেডিকেল সায়েন্স ফেল সেখানে যোগই একমাত্র ভরসা।
ডাঃ মনা ইয়োগা ওয়ার্ল্ড এর চেয়ারম্যান ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা বলেন, ” হৃদয় দিয়ে হৃদয়ের যত্ন নিন” নিয়মিত প্রাণায়াম যোগব্যায়াম করুন সুস্থ রাখুন আপনার হদয়। দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হৃৎপিণ্ড, যা কাজ করে চলেছে ক্লান্তিহীন ভাবে। পেশি দিয়ে তৈরি এই যন্ত্র আসলে পুরো শরীরের রক্তসঞ্চালনে সহায়তা করে থাকে। হৃদ্যন্ত্র্র আমাদের শক্তির কেন্দ্রস্থল। কারণ, এখান থেকেই আমরা পাই ভালোবাসার শক্তি, হারানোর বেদনা বা দুঃখ কমানোর সক্ষমতাও। এই হৃৎপিণ্ডকে আমরা সুস্থ রাখতে পারি নিয়মিত প্রাণায়াম যোগব্যায়ামের মাধ্যমে। প্রাণায়াম যোগব্যয়াম শ্বাসপ্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণ আর ধ্যানের মাধ্যমে সহজেই আমরা আমাদের হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে পারি।
প্রাণায়াম যোগব্যায়াম হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ ও সবল করে। ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে পারে। উপরন্তু আপনার বয়স যতই হোক না কেন, শরীরের বিভিন্ন পেশিতে রক্ত সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখতে হৃৎপিণ্ডকে অধিক কষ্ট করতে হয় না। যোগব্যায়ামে তিন ধরনে ব্যায়াম রয়েছে। কার্ডিওভাসকুলার বা অ্যারোবিক ব্যায়াম রক্তসঞ্চালন ব্যবস্থা উন্নত করে, রক্তচাপ কমায় এবং হৃৎস্পন্দনকে স্বাভাবিক রাখে। স্ট্রেন্থ ট্রেনিং শরীরের চর্বি কমিয়ে পেশিকে সুস্থ রাখে। স্ট্রেচিং শরীরের কাঠামোকে নমনীয় করে। পেশি শক্ত ও অনমনীয় হয়ে ওঠে না। ফলে মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে চাঙা থাকে।
মানসিক চাপমুক্ত থাকা-
যোগাসনের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো হৃৎপিণ্ডকে চাপমুক্ত রাখে। ফলে শরীর ও মন থাকে সতেজ। কারণ, মানসিক চাপ শরীরকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। বিশেষত মানসিক অবসাদ কর্টিসল ও অ্যাড্রেনারিন হরমোন নিঃসরণকে প্রভাবিত করে আমাদের শিরাকে সংকুচিত করে রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। কর্টিসল শরীরের ওজন হ্রাসে বাধা সৃষ্টি করে, কোলেস্টেরল, রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে; বাড়ায় রক্তচাপ। এর থেকেই হয় হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোক।
ঘুম-
ঘুম মানুষের সুস্থতার পূর্বশর্ত। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক। কারণ, ঘুম মানুষের সব ধরনের চাপ কমিয়ে সতেজতা দেয়। সারা দিনের সব অবসাদ দূর করে চাঙা করে তোলে; যাতে পরের দিন পূর্ণোদ্যমে কাজ করতে পারে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের ঘুম না হলে শরীরে অবসাদ থেকেই যায়। এমনকি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমালেও স্বাভাবিক ঘুমের সেই সতেজতা মেলে না। উল্টো চাপের মধ্যে থাকে হৃৎপিণ্ড। যোগব্যায়াম এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখে। প্রাণায়াম অক্সিজেন গ্রহণের মাত্রা বাড়ায় আর মেডিটেশন বা ধ্যান অবসাদ আর মানসিক চাপমুক্ত করে মনকে হালকা করে।
মানসিক শান্তি-
রাগ, দুঃচিন্তা,হতাশা, অপরাধ বোধ, আমাদের হৃৎপিণ্ডের চরম ক্ষতি করে। এগুলো মানসিক চাপ বাড়ায়, যা হৃৎপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকারক হয়, নার্ভাস ব্রেকডাউন, হার্ট অ্যাটাকের কারণ ঘটায়। মেডিটেশন, শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং কিছু আসন মানসিক অবরুদ্ধতা দূর করে।
যোগব্যায়াম হলো এক জীবন দর্শন-
যোগ হলো এক জীবন দর্শন, যোগ হলো এক জীবন পদ্ধতি, যোগ হলো ব্যাধিমুক্ত জীবনের সংকল্পনা।যোগ শুধুমাত্র এক বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি ই নয়, বরং যোগের প্রয়োগ পরিণামের ওপর আধারিত এক প্রমাণ যা ব্যাধিকে নির্মূল করে। হৃদ রোগ চিকিৎসায় প্রাণায়াম যোগব্যায়াম অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু শরীরেরই নয় সমস্ত মানসিক রোগের ও চিকিৎসা শাস্ত্র।
যেখানে মেডিকেল সায়েন্স ফেল সেখানে যোগই একমাত্র ভরসা।
যোগ এলোপ্যাথির মতো কোন লাক্ষণিক চিকিৎসা নয়, বরং রোগের মূল কারণকে নির্মূল করে আমাদের ভিতর থেকে সুস্থ করে তোলার এক উপায়।
যোগকে যারা শুধুমাত্র ব্যায়ামের মত দেখা বা ব্যক্তি বিশেষ এর পদ্ধতি মনে করে তারা সংকীর্ণতাপূর্ন ও বিবেকহীন হবে। হিংসা, অহংকার, অজ্ঞানতা, স্বার্থ থেকে উঠে এসে যোগকে আমাদের এক সম্পূর্ণ বিজ্ঞানের মত দেখা উচিৎ।
ব্যায়ামের কথা শুনলেই মনে ভয় জাগে। বিশেষ করে এর জন্য আলাদা সময় বের করা প্রায় সবার জন্যই কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু ব্যায়াম না করার ফলে অনেকের ওজন বেড়ে নানা অসুখ তৈরি হয়। তাই সকলের জন্য ব্যায়াম জরুরি। কিছু সহজ ব্যায়াম আছে যা চাইলেই ঘরের চেয়ার কিংবা বিছানায় বসে করে ফেলা সম্ভব।
সুশিক্ষার পাশাপাশি আপনার সন্তান কে প্রাণায়াম যোগ শিক্ষা দিন! আপনার সন্তান নীরোগ জাতি উপহার দিবে।
শরীর ফিট তো আপনি হিট-
ইয়োগা ( প্রাণায়াম-যোগ ব্যায়াম) করুণ নিজেকে ফিট রাখুন,,,,,নিজের ডাঃ নিজেই হয়ে উঠুন।
ঘরে বসে যোগ করুন নিরোগ থাকুন! পুরো পরিবার কে সুস্থ রাখুন। ঔষধ কে না বলুন।
যে কাজ মেডিকেল সায়েন্স দ্বারা হয়না তা যোগ দ্বারা হয়। সকল প্যাথি ফেরত রুগীরা যাচাই করুন। যোগ তরুণ দের মাদকাসক্তি সহ বিপথ গামী মানুষ কে সুপথ গামী করে। এসিডিটি সহ অসাধ্য রোগকে আরোগ্য সম্ভব। যোগ করুন সুস্থ জীবনযাপন করুন। ।
যোগ ব্যায়াম একতার সবচেয়ে বড় শক্তি। যোগ করুন আর চির সবুজ থাকুন! ১০০ বছর বৃদ্ধ না হতে চাইলে যোগ করুন
চিকিৎসা ও সুবিধা বন্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে
আসুন হাতে হাত রাখি একসাথে,,,,,। সুন্দর ও সুস্থ জীবন গড়ুন!
হৃদ রোগসহ নানা রোগমুক্তি সম্পর্কিত যোগ ও প্রাণায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে —
ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা
ডাঃ মনা ইয়োগা ওয়ার্ল্ড
(প্রাণায়াম ও অ্যাকিউপ্রেশার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র)
ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া।
০১৭১২-২৭৬৭৫৩