মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিটি বন্ধন পরিবহন নিয়ন্ত্রণে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর ১নং রেল গেট,টানবাজার ও লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ ঘটেছে।সংঘর্ষের কারণে কাউন্টার বন্ধ রয়েছে।১নং রেল গেইট ও ২নং রেল গেইট এলাকায় বাস চলাচল বন্ধ আছে।১নং রেল গেইট থেকে টানবাজার ও বন্দর ঘাট এলাকায় সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।সিটি বন্ধন বাসের এমডি বলেন-২০০৯ সালে তপন মিয়া বন্ধনের সব গাড়িগুলো বিক্রি করে চলে গেছে।আন্দোলনে দেশ স্বাধীনের পর আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীরা মিলেমিশে ব্যবসা করছিলাম।তখন তপন রানা জুবায়ের আরো কয়েকজন মিলে আমাদের অফিস দখল করতে এসেছিলো।কিন্তু আমাদের মালিক পক্ষ সঙ্ঘবদ্ধ থাকার কারণে তারা দখল করতে পারেনি।আজ সকালে তারা লোকজন নিয়ে এসে আমাদের সিটি বন্ধন কাউন্টার দখল করেছে এবং কাউন্টারের সিটি শব্দটা রং দিয়ে মুছে দিয়েছে।তারা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বন্ধন পরিবহন দখল করতে চাচ্ছে।আমরা ব্যবসায়ীরা যাতে নিরাপদে ব্যবসা করতে পারি সেটার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।তারা আমাদের সিটি বন্ধন পরিবহন দখল করতে চায়।যাত্রাবাড়ীর ১৯, ২৮ ও ২৭ বই যখন বিক্রি হয়েছে তখন তপন মিয়া সেগুলো নিয়ে নেয়।এখানের ৪০ জন মালিক মিলে আমাকে এমডি এবং লিটনকে চেয়ারম্যান বানিয়েছে। আমরা কোন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নই। আমাদের মালিকপক্ষকে তারা ধরে ধরে নিয়ে গিয়ে সই করতে বাধ্য করেছে,তখন আমরা মামলা করতে গেলে তখনকার ওসি আব্দুস সাত্তার ছিলো তপন মিয়ার মামা শ্বশুর।তিনি আমাদের কোন অভিযোগ বা মামলা নেন নাই।তবে উল্টা আমাদের নামেই মিথ্যা মামলা নিয়েছে।তিনি আরো বলেন-সে মিথ্যা মামলার বাদীর সাথে কথা বলেছি,বাদী আমাদের জানিয়েছে-আমরা আপনাদের চিনি না,আমার বন্ধু রানা আমার থেকে জায়গার কাগজ নিয়ে আপনার নাম ফাসিয়ে দিয়েছে।বৈষম্য ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় বাদী সুমন গুলি খেয়ে ছিলো,সে মামলায় আমাদের নাম ফাঁসিয়ে দিয়েছে। তাদের এই মামলাদার উদ্দেশ্য বন্ধন পরিবহনকে দখল করা।
রানা ও তপন যারা দখল করতে চাচ্ছে তারা গাড়ি বিক্রি করে চলে গিয়েছিলো এবং সেই বিক্রি করার সেল রিসিট আমাদের কাছে আছে।কিন্তু তারা মালিক কে কোনঠাসা করে গাড়ি দাবি করছে।আমরা সাধারণ জনগণ কোন রাজনৈতিক দলের না,মালিক শ্রমিকদের নিয়ে যারা হামলা করতে এসেছিলো তাদের প্রতিরোধ করেছি।এ হামলায় আমাদের ৫/৭ জন কর্মী আহত হয়েছে।ঘটনার বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)নজরুল ইসলাম বলেন- নিজের শক্ত অবস্থান ধরে রাখার জন্য বন্ধন পরিবহনের দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।সকালে এক গ্রুপের সাথে আলোচনার জন্যে বসেছিলাম।তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছিলো।কিন্তু পরে আরেক গ্রুপ এসে ধাওয়া দেওয়ায় আবার দাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।পুলিশ এবং সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে।যৌথবাহিনী এ ঘটনায় ৭ জনকে আটক করেছেন।বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।