বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো:
খুলনায় আইন শৃঙ্খলা অবনতির ব্যাপারে এবার বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা গভীর উদ্বেগের সাথে বলেছেন গত চার মাস আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে খুন ছিনতাই মারামারি অস্ত্রাঘাত সহ টেন্ডারবাজির কারণে শহর জুড়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে এলাকার আধিপত্য বিস্তারে নিয়ে মারামারি খুনো খুনি, যার কারনে শংকিত হয়ে পড়েছে নগরবাসী। উল্লেখযোগ্য ভাবে বলা যেতে পারে চার মাসে মহানগর ও জেলায় ২৪টি হত্যাকাণ্ডর ঘটনা ঘটেছে আর এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে অভিযোগ করেছে।
এ সকল ঘটনা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব অবহেলার প্রধান কারণ হিসেবেও তারা প্রশাসনকে দায়ী করছে যা প্রশাসনের কর্তারা কোনভাবেই এড়িয়ে যেতে পারবেনা।
একই সাথে খুলনার বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিরা বলতে বাধ্য হচ্ছে ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তন এর পর দীর্ঘ চার মাস পেরিয়ে গেলেও খুলনায় এখনও পুরোপুরি সক্রিয় হয়নি পুলিশ। আর এই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। পাশাপাশি দীর্ঘদিন পলাতক ও জেলে থাকা চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পুনরায় এলাকায় ফিরে তারাই করছে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই এছাড়া তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে স্থানীয় কিশোর মাস্তান বখাটেরা।
ফলে দিন দিন ক্রমান্বয়ে সন্ত্রাসী সংখ্যা বেড়েই চলেছে যার কারণে সমগ্র নগরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলা ও প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে প্রশাসন মহলের কঠোর হস্তক্ষেপ আশা করছে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে বিশেষ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে খুলনা বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন খুন, অস্ত্রের মহড়া, চুরি, ডাকাতি ও লুটপাটের মতো ঘটনা খুলনায় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতি রাতেই নগরীসহ জেলার কোথাও না কোথাও ঘটছে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলি ও খুনসহ সন্ত্রাসী ঘটনা। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিএনপি মিডিয়া সেলের পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের অতিসম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা খুলনায় সফরকালে পুলিশসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দিলেও মাঠ পর্যায়ে তার বাস্তবতা না থাকায় বেড়েছে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদকের বিস্তারসহ পাড়া-মহল্লায় সশস্ত্র মহড়া। বিশেষ মহল থেকে আরও জানানো হয়, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আগামী দিনে আরও অবনতি ঘটবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেবে। খুলনার আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোরভাবে তৎপরতার সাথে কাজ না করলে নগরজুড়ে সাধারণ মানুষের জান মালের খেসারত দিতে হবে। আর এ সকল অনাকাঙ্খিত ঘটনার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।