বিপ্লব সাহা,খুলনা ব্যুরো :
দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভাগ খুলনার দশ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল জুড়ে আবহাওয়ার সকল প্রতিকূলতা কেঁটে এবং সুন্দরবন উপকূলীয় বেশ কিছু এলাকার লবনাক্ত সমস্যা উপেক্ষা করে শুরুতেই আমন ধানের উজ্জ্বল সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এতে করে বিভাগের দশ জেলার কৃষকদের উজ্জ্বল সম্ভাবনার দার উন্মোচনের আগাম আভাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
মাত্র কয়দিন আগেও দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর জমি পানির নিচে তলিয়ে থাকলেও গেল দিন পনেরক পূর্বের থেকেই পানি টেনে যাওয়ার সাথে সাথে কৃষকরা অর্থ উপার্জনের অন্যতম ফসল আমন ধান চাষের লক্ষে
কাল ক্ষেপণ না করে নেমে পড়েছে মাঠে।
যে সকল এলাকাজুড়ে ফসলি জমিতে পানি ওঠেনি বা কম ছিল সেসব এলাকায় ইতোমধ্যে কৃষকরা আমন ধান রোপনের কাজ সম্পন্য করেছে।
তাছাড়া পানিপ্লাবিত ও লবণাক্ত এলাকাগুলোতে একটু দেড়িতে রোপন প্রক্রিয়া শুরু হওয়াতে এখনো ধান রোপনের কাজ চলমান রয়েছে।
বাজুয়া এলাকায় লাউডোপ গ্রামের কৃষক মনিন্দ্রনাথ ঢালী নাগরিক ভাবনাকে তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন যদিও এবারে বৃষ্টি ও নদীর পানি ধেয়ে এসেছিল জমিতে তাতে মৎস্য চাষী ঘের ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হলেও ধান চাষের ক্ষেত্রে উপকার হয়েছে।
কারণ নদীর পানি বেড়ে এলাকা প্লাবিত হয়ে ফসলি জমিতে পলিমাটি অবস্থান করেছে। আর এই পলি মাটি যে কোন ফসলের জন্য সুফল প্রদান করে থাকে সেহেতু আশা করছি আমন ধান রোপনের সপ্তাখানিকের মাথায় ধানের গোচ এবং চেহারার লাবণ্যতা দেখে মনে হচ্ছে এবার উচ্চ মাত্রার ফলন দেবে।
পাশাপাশি স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কর্মকর্তা বলেছেন বিভাগের কুষ্টিয়া চুয়াডাঙ্গা নড়াইল যশোর ও খুলনার আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ওই সকল এলাকার স্থানীয় কৃষকেরা প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন পূর্বের থেকেই সুযোগ বুঝেই অক্লান্ত পরিশ্রম দিনরাত সময় দিয়ে মাঠে আমন ধান রোপন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
বাকি জেলা গুলোতে পানি প্লাবিত থাকার কারণে একটু বিলম্ব হলেও গত সপ্তাহ থেকে রোপন কাজ শুরু করে অদ্যবধি অব্যাহত রেখে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে।
তিনি আরো বলেন এবার বিভাগের অন্যতম লবণাক্ত এলাকার সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের সকল প্রতিকূলতা লবণাক্ততার মাঝেও স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ওই এলাকাগুলোতেও আমন ধানের ব্যাপক সফলতা অর্জন করবে।
তাছাড়া বিভাগের সকল এলাকার কৃষকদের আমন ধানের বীজতলা থেকে শুরু করে সার কীটনাশক ও অন্যান্য উপাদান সরবরাহ করে তাদের সহযোগিতা করা হচ্ছে ।
পাশাপাশি স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাগণ সর্ব অবস্থায় সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকদের পাশে থেকে যাতে করে ফসল ভালো হয় সে বিষয়ে সুপরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছে।
পাশাপাশি খুলনা দাকোপ এলাকার কৃষি কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন যদি সামনের দিনগুলোতে আবহাওয়ার বড় ধরনের কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোন ও জলোচ্ছ্বাস না হয় তাহলে এবার আমন ধান কৃষকদের মুখে উজ্জ্বল হাসি ফুটাবে তার কোন সন্দেহ নাই।