মুন্না ইসলাম উপজেলা প্রতিনিধি ( রাজশাহী) :
ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে । যার ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ । আর বাংলাদেশের বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে । ব্যতিক্রমী এক ঘটনা রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার শীল মারিয়া ইউনিয়নের সাধনপুর । এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সাধনপুর শিশু নিকেতন । এর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মজিদ এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি। আব্দুল মজিদের একমাত্র কন্যা বেবি বালি অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী হলে তিনি মেয়েকে নিয়ে দেশ-বিদেশে বহু চিকিৎসা করান।
কিন্তু মেয়েকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। সেখান থেকেই আব্দুল মজিদের উপলব্ধি হয় প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কিছু করার। আর এ উপলব্ধি থেকে প্রতিষ্ঠা করেন সাধনপুর পঙ্গু শিশু নিকেতন।
খুব স্বল্প পরিসরে শুরু হলেও বর্তমানে এটি প্রায় ৩০ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে পর্যায় ক্রমে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চবিদ্যালয়, একটি কলেজ, একটি সমন্বিত অন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাঠাগার এবং একটি শিশু পার্ক।
স্বাস্থসেবার জন্য রয়েছে স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স; আছে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ব্যবস্থাও। সব গরিব পঙ্গু প্রতিবন্ধী শিশুদের থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা, শিক্ষা, কারিগরি প্রশিক্ষণসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রয়েছে।
মানবসেবায় অবদানের জন্য আব্দুল মজিদকে শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ ২০০৬ সালে সংর্বধনা দেয়। ২০০৭ সালে তাকে সাদা মনের মানুষ হিসেবে সম্মাননা দেয় ইউনিলিভার লিমিটেড। । এখানে পড়তে আসা প্রতিবন্ধী নুর ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান আমাদের এখন আর কেউ অশিক্ষিত বলে গালি দিতে পারবেনা। আমরাও এখন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত । তিনি আরো জানান আমার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলা। আমি সাধনপুর শিশু নিকেতন থেকে এবার ডিগ্রী ফাইনাল ইয়ারে পড়ছি । এখানে প্রতিবন্ধী মানুষদের চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয় । তিনি আরো জানান আমরা এখানে থাকতে পেরে এখন নিজেদের গর্ব বোধ মনে করি