বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
মাত্র আর কয়েক ঘণ্টা পর গিরিক পঞ্জিকা অনুসারে বিগত বছরের অনেক গ্লানি পাওয়া না পাওয়া বেদনা আনন্দ আর অপ্রত্যাশিত প্রত্যাশাকে প্রাপ্তির ঝুলিতে কুক্ষিগত করে।
আবার অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সারা বছরব্যাপী বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে যুদ্ধ হাঙ্গামা অসংখ্য জীবনের রক্ত স্রোতের সজন হারানো দুঃখ দুর্দশা অতিক্রম করে। পৃথিবীর পঞ্জিকার দিনক্ষণ মতে জরাজীর্ণ পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিচ্ছে ২০২৩ সাল।
আর পুরাতন বছরের জীর্ণতাকে বিদায় জানিয়ে নতুন কে স্বাগত জানানোর লক্ষ্যে আজ সারা বিশ্ব জুড়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষদের পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশিরাও নানান অনুষ্ঠানিকতার সাথে সারারাতভোর আনন্দ হই হুল্য গান- বাজনার মধ্য দিয়ে আগামীর নব আকাশে ভোরের সূর্যকে বরণ করে নিতে অধীর অপেক্ষায় ।
তবে বিদায় বছরে কেউ হারিয়েছে স্বজন কারো বা প্রাপ্তি ঘটেছে নতুন অতিথির আগমনে উল্লাসের প্রাপ্তি নিয়ে পথ চলা,কেউ হারিয়েছে জীবনে অর্জিত সকল সম্বল কেউ আবার গড়ে তুলেছে অট্টালিকা অঘাত ইমারত স্বপ্ন ছুঁয়েছে গগনে গগনে। আবার এ পৃথিবীর কোনে কোণে অসংখ্য আহাজারী খুদা দরিদ্র বেদনার কন্ঠে কেঁদেছে আর্তনাদে অসহায় মানব জাতি।
কোথাও স্ববলের অত্যাচারে নির্যাতিত হয়েছে অসহায় দুর্বল।কোথাও খুদা দারিদ্র্যতার অনাহারের নিরব কান্নার হাহাকার কোথাও বিশাল খাদ্যর সমারহে বিলাসিতায় কোটি টাকা উড়িয়ে দিচ্ছে রাতারাতি কোন অবৈধ জলসায়।
তাই নতুন বছর ২০২৪ কে বরণ করতে মানুষের মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করে আগামী দিনে বিধ্বস্ত মানুসিকতাকে পদদলিত করে শুদ্ধ বিবেকের দ্বার উন্মোচন করে শুদ্ধ সুচি সূর্যের আলোকছটায় আলোকিত হোক এই বিশ্বময়।
সকল হিংসা ক্রোধ হানাহানি বিভেদ ভুলে গিয়ে মনুষ্যত্বের দ্বারপ্রান্তে হই অসহায়ের কান্ডারী।
আর যেন না ঘটুক অনাকাঙ্ক্ষিত কোথাও কোন মৃত্যু আর অগ্নিকাণ্ড আর যেন না ঘটুক কোন নববধূর যৌতুকের করাল গ্রাসে আত্ম বলিদান।