মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ :
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভূপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি গ্রামের আল-আমীন হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।শুক্রবার(২রা ফেব্রুয়ারি)বিকালে উপজেলার হোসেনপুর শম্ভূপুরা পিরোজপুর ইউনিয়ন কলেজে প্রবাস ফেরত আল-আমীনের হত্যাকারী সুজন ও তার সহযোগীদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করা হয়।মানববন্ধনে ভিটিকান্দি গ্রাম সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা হতে শতশত নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে ঘাতক সুজন ও সহযোগীদের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন ব্যবহার করে প্রতিবাদে অংশ নেন।মানববন্ধনটি প্রায় আধা কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়।এ সময় প্রবাস ফেরত আল আমিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অঝরে কাঁদলেন তার মা,স্ত্রী,ভাই,বোন সহ আত্মীয়-স্বজনেরা।প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে- মানববন্ধনে ঘাতক সুজন ও সহযোগীদের দ্রুত বিচার শেষ করে ফাঁসির দাবী জানানো হয়।পাশাপাশি আল-আমীন হত্যাকারীকে দ্রুততম সময়ে সনাক্ত করায় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান এলাকাবাসি।প্রসঙ্গতঃপূর্ব শত্রুতার জেরে ২৫ শে জানুয়ারি(বৃহস্পতিবার)মতিন মিয়ার একমাএ ছেলে ঘাতক সুজন(৩০),ইসমাইল মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে প্রবাস ফেরত আল-আমীন(৩৭)কে বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়।সম্পর্কে আল-আমিন ও সুজন আপন চাচাতো ও জেঠাতো ভাই।আল-আমীন এক সন্তানের জনক ও তার স্ত্রী প্রায় ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।দীর্ঘ সময় আল-আমীন বাড়িতে না আসায় ও তাদের ২ জনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় বাড়ীর লোকজন চিন্তা করতে থাকেন।পরবর্তীতে চাচাতো ভাই ঘাতক সুজন একা বাড়ীতে আসলে তাকে আল-আমীন কোথায় আছে জানতে চাইলে সুজন বলে সে জানে না।আবার সে বলে-আল-আমীন তাকে রেখে কোন এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছে।কথায় এলোমেলো মনে হলে বাড়ীর লোকজন গভীর রাতে কৌশলে সোনারগাঁও থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ঘাতক সুজনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক সুজন স্বীকার করে,সে এবং তার সহযোগীরা আল-আমীনকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে পার্শ্ববর্তী কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা এক নির্জন এলাকায় নিয়ে হত্যা করেছে।পরের দিন শুক্রবার(২৬ শে জানুয়ারি)মেঘনা থানা পুলিশ চালিভাঙ্গা এলাকার এক নির্জন বালুর চর হতে আল-আমীনের নিথর দেহ উদ্ধার করে।আল-আমীনের মৃত্যুর খবর তার বাড়িতে পৌঁছলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার বাড়ির লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন এবং শোকের ছায়া নেমে আসে বাড়ীতে।পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী কুমিল্লার মেঘনা থানায় সুজনকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়।শুক্রবার(২রা জানুয়ারি)বিকেলে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা সদস্য ও মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরজাহান,মোয়াজ্জেম হোসেন বুলবুল আহমেদ,শম্ভূপুরা আওয়ামীলীগ নেতা ইব্রাহিম মিয়া ও ইলিয়াস হোসেন প্রমূখ।