রাসেল কবির// বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ নদীতে ঘেরা। শত শত পরিবারের ভিটেবাড়ি নদীতে বিলিন হলেও। অসহায় পরিবাররা শুধু আশ্বাসের বাণী বিশ্বাস করছে। অসহায় পরিবাররা সর্ব শেষ ভিটেবাড়ি হারিয়ে দুঃখ বেদনা নিয়ে দু”হাত তুলে প্রভুর কাছে কান্না করছে নদীর পাড়ের অসহায় পরিবাররা। সরজমিন ঘুরে দেখাগেছে মেহেন্দিগঞ্জের চর সিপুলী, বাগর-ঝা, আলিমাবাদ , উলানিয়া, লেঙ্গুটিয়া সহ অনেক স্থানে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। আড়িয়াল খা, কালাবদর ও মেঘনা নদীর প্রমত্তা শাখায় চতুর্দিকে ঘিরে রেখেছে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা। নদী ভাঙ্গনের ফলে সবকিছুই বিলীন হচ্ছে কিন্তু রক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। নদী ভাঙ্গনে চরসিপুলী এলাকার অসহায় পরিবারগুলো এদিক-সেদিক মানবতার জীবন-যাপন করছে। হেমায়েত মিয়া, আক্কাস উদ্দিন , রফিক সরদার বলে জনপ্রতিনিধ শুধু আশ্বাস দিয়ে যায়। জনপ্রতিনিধিদের নদীর পাড়ে দেখা যায় না। সিন্নির চর এলাকার হতদরিদ্র মালেকা খাতুন, মায়া বেগম, রানী, আলেয়া প্রতিনিধিকে জানায় কোথায় ও মিছিল মিটিং সমাবেশ হলে নেতারা এলাকায় এসে আমাদেরকে বলে অনুষ্ঠানে যোগদান করিতে হবে আর বলে নদী ভাঙ্গন রক্ষা বিষয় ব্যবস্থা তা হবে। অনুষ্ঠান শেষে আমরা চলে আসলো পরবর্তীতে নদী ভাঙ্গনের রক্ষার কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। উলানিয়া ইউনিয়নের প্রত্যক্ষদর্শী আবুল হোসেন, হেলাল উদ্দিন বলেন চোখের সামনে বসত ভিটে, ফসলি জমি, গাছপালা, এমনকি বিল্ডিং মসজিদ মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ হাট বাজার নদীতে বিলির হচ্ছে। অনেকেই নদীর পাড়ে টলারের মাধ্যমে গরু বাছুর ও বসত ঘর খুলে অন্যত্র জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে কথা হয় ১৫ নং আদর্শ নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির হোসেন হাওলাদার এর সাথে তিনি বলেন আমার আদর্শ নগর নদী গর্ভে শত শত হেক্টর আবাদি আনাবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পাড়ের অসহায় পরিবারগুলোর সম্বল টুকু টিকে রাখার জন্য অতি দ্রুত নদী ভাঙ্গন রক্ষা করা অতীব জরুরী বলে মনে করেন সর্বএ এলাকাবাসী।

