জিয়া চৌধুরী (খুলনা জেলা প্রতিনিধি)
দৌলতপুর বাজার বনিক সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন গত ৩ ফেরুয়ারী বানচাল হওয়া কে কেন্দ্র করে প্রার্থী, ভোটার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যে উদ্যেগ উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছিল সেটার সমাপ্তি আগামী ১৭ই ফেব্রুয়ারি পুনরায় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হতে যাচ্ছে। তাছাড়া নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ব্যর্থতার কারণে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় নতুন করে আরো কিছু উপদেষ্টা কে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মধ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত ৩ ফেরুয়ারী নির্বাচনের আগে যে সকল ভোটারদের আইডি কার্ড দিতে ব্যার্থ হয়েছিল নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্য তাদের কে ও আইডি কার্ড পৌছে দেওয়া হয়েছে। গত ৩ ফেরুয়ারী বিতরকিত ও বানচাল হওয়া নির্বাচন আগামী ১৭ ফেরুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
দৌলতপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ আসলাম জানান ৩ ফেরুয়ারীর নির্বাচন ছিলো বিতরকিত, ও অগ্রহনযোগ্য যার কারণে আমরা ভোট বর্জন করেছিলাম যার কারণে নির্বাচন কমিশন ভোট স্থগিত করে দেয়। তাছাড়া কিছু প্রার্থী বহিরাগত লোকজন নিয়ে বাজারে প্রবেশ করে বাজারের দোকানপাট ভাংচুর ও মারামারি সহ কিছু লোকজন কে রক্তাক্ত জখম করে। এই জন্য স্থগিত হওয়া ১৭ ফেরুয়ারীর নির্বাচন স্বচ্চ ও সুন্দর ভাবে যাতে হয় সেজন্য আমরা লিখিত আবেদন করেছি এবং বিষয়টি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি কে জানিয়েছি। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি প্রতি আমাদের আস্থা আছে তারা আমাদের কে সুষ্ঠ সুন্দর গ্রহন যোগ্য নির্বাচন উপহার দিবেন। নির্বাচন নিয়ে কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে দিকে আমরা নির্বাচন কমিশন কে সজাগ দৃষ্টি দিতে বলেছি। ব্যবসায়ীদের ভোটে যারা জয়ী হবে আমরা তাদের গলায় মালা পড়াবো।
সাঃ সম্পাদক প্রার্থী নান্নু মোড়ল বলেন নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন সংস্কার করা হয়েছে। আমরা আশাকরি এই নির্বাচন কমিশন সকলের প্রত্যাশিত স্বচ্চ,নিরপেক্ষ ও গ্রহন যোগ্য নির্বাচন উপহার দিয়ে সকলের প্রত্যাশা পুরণ করবে। তবে ৩ ফেরুয়ারীর নির্বাচনে শত শত বহিরাগতের অনাগোনা ছিলো। এই সকল বহিরাগতরা বাজারের দোকানপাট ভাংচুর করেছে। আমার কর্মি ও সমার্থকদের মারধোর করেছে। যার করণে অনেক প্রার্থী, ভোটার কর্মি ও সমার্থকদের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে। অনেকে সংশয়ের মধ্যে রয়েছে তাছাড়া একটা থমথমে আবস্থা বিরাজ করছে সকলের মাঝে। আমরা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি কে জানিয়েছে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠ ও সুন্দর রাখতে পর্যাপ্ত আইন শৃংখলা বাহিনী রাখতে ও বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকায় ডুকতে না দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। দৌলতপুর বাজার বর্ণিক সমিতির (রেজি নং-২৫১০) ত্রিবার্ষিক সাধারন নির্বাচন আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি -২৫ (সোমবার) সুষ্ঠু ও সুশৃংখলভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরীর বয়রা এলাকায় শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অবস্থিত যৌথ বাহিনীর নিকট নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারী ১১ টি পদের প্রায় সকল প্রার্থীদের পক্ষ হতে আইন শৃঙ্খলা সুন্দর করতে একটি লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হয়। এ সময় যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের নিরাপত্তা দেবেন বলে প্রার্থীদেরকে আশ্বস্ত করেন। এ সময় তারা বলেন এদেশের সাধারণ জনগণের সমস্যা সমাধানে পাশে থাকবে যৌথ বাহিনী। এ সময় দৌলতপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীগন বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও ছবি যুক্ত আইডি কার্ড নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন সহ সকলে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে পুনরায় ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত তারিখ ঘোষণা করেন। আমরা চাই কোন ঝামেলা ছাড়া পুলিশ ও যৌথবাহিনী সহ প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মাধ্যমে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পূর্ণ হবে বলে আমরা আশা প্রকাশ করি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর বাজার বর্ণিক সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সভাপতি প্রার্থী শেখ আসলাম,সহ-সভাপতি অপু গাজী, আশিকুর রহমান শুভ ,হীরা বাবু, সার্জেন্ট মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী -আসাদ বন্দ,নান্নু মোড়ল, অসাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শেখ আজিজুল হক কাম্বার,মোঃ আসাদ শেখ, সোলাইমান শেখ, পলাশ শেখ,সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী জাকির হোসেন, আরিফ মোড়ল, কোষাধক্ষ্য প্রার্থী আজিজুর রহমান মোল্লা, মোঃ আসসালাম ফকির, তুহিন শেখ, দপ্তর সম্পাদক প্রার্থী আকমল গাজী, দুলাল গোমস্তা, প্রচার সম্পাদক প্রার্থী প্রদীপ দাস ভোলা, মোহাম্মদ ডলার, ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী মোঃ আকাশ হোসেন,মাহবুব মোড়ল, সদস্য প্রার্থী জয়নাল মোল্লা, মিরাজ শেখ,মোঃ সবুজ শেখ,জামাল সরদার, সুমন হালদার, বাবুসহ সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) পুনরায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্থগিত হওয়া দৌলতপুর বাজার বণিক সমিতি (রেজি: নং-২৫১০)’র ত্রি-বার্ষিক সাধারন নির্বাচন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মুশারফ হোসেন।