বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
উপকূলীয় এলাকায় ঘনীভূত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ডানা আঘাত হানতে পারে গভীর রাতে তাণ্ডব চলতে পারে শুক্রবার পর্যন্ত। ভয় আর দুশ্চিন্তায় গ্রাস করছে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের। চোখের পানি মুছতে মুছতে দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকার জলোচ্ছ্বাস্য ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সুনীল বিশ্বাস বলেন চলমান পুরো বছরটা যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে চলতে হচ্ছে আমাদের । একের পর এক আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড় বেড়ে চলেছে জলোচ্ছ্বাস। সাথে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নৈতিকতা ইস্খলনের কারণে বন্যায় প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের অসংখ্য মানুষ। ধ্বংস হয়েছে ঘরবাড়ি এমনকি মৃত্যু ঘটেছে অসংখ্য মানুষের আবার তারই সাথে নতুন করে চোখ রাঙ্গাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ডানা।
দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞ কর্তারা জানিয়েছে আজ সকালে ঝলমলে রোদ উঠলেও সকাল ১১ টা নাগাদ মেঘের আস্তরণে ঢেকে যায় আকাশ শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি সাথে থেমে থেমে ঝড়ো বাতাস বইছে নদী উপকূলীয় এলাকাগুলোতে। পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে খুলনা বিভাগীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান আমিরুল আজাদ জানিয়েছেন বর্তমান ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়ার ৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৯৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমি এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।