টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় নির্মাণ শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচন নিয়ে একটি স্বার্থনেষী মহল পায়তারা করছে। সাধারণ শ্রমিকদের ভোটার না বানিয়ে ৪ জন বিএনপি নেতা ৩ জন সংবাদকর্মী এবং তাদের বাহামভুক্ত ১০ জন শ্রমিককে ভোটার বানিয়ে নির্বাচন দেওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যেকোন সময় দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে কারসাজির ভোট বন্ধের দাবি জানিয়েছেন একাধিক শ্রমিক।
জানাগেছে, ১৯৭৯ সালে টাঙ্গাইলের উপশহর এলেঙ্গায় নির্মাণ প্রকশৌল শ্রমিক সংগঠনটি গঠিত হয়। সংগঠনটিতে ৯৮৭ জন সদস্য রয়েছে। এদের মধ্যে ৭৩২ জন মিস্ত্রি ও ২৫৫ জন (কারিগর) সহকারী মিস্ত্রি রয়েছে। মোট ভোটারের সংখ্যা ৫৬১ জন। ওই সংগঠনে গত ৪০ বছর ধরে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন হয়ে আসছে। গত বছর ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপণার মধ্যে দিয়ে এই সংগঠনটিতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয় মোলাকাত হোসেন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয় মো. জাহিদ মিয়া। এ বছর নির্বাচনের জন্য জেলা কমিটি বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন ওই সংগঠনের কর্মরত শ্রমিকরা। ওই সংগঠনের শ্রমিকদের মতামত উপেক্ষা করে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন না দিয়ে তার পছন্দসই সভাপতি সম্পাদক বানানোর জন্য একটি ১৭ সদস্য বিশিষ্ঠ সিলেকশক কমিটি গঠন করেন।
যার মধ্যে ৩ জন সংবাদকর্মীর নাম ও এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের নাম রয়েছে সিলেকশন কমিটিতে। সাধারণ ভোটারা প্রশ্ন তুলেছে শ্রমিক না হয়েও বিএনপি নেতা ও সংবাদকর্মীরা কিভাবে এই তালিকায় ভোটার হলো। এ নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলেঙ্গা নির্মাণ প্রকৌশল শ্রমিক সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসান ও শ্রমিক নেতা মঞ্জু মিয়া জানান, এই সংগঠনটিতে ব্যপক জাকজমকভাবে নির্বাচন হয়ে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে এই সংগঠনিতে নির্বাচন হয়ে আসছে। এবছর তিনি নির্বাচনের জন্য জেলা কমিটি বরাবর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুণ অর রশীদ নানা অজুহাত দিয়ে ১৭ জনের একটি সিলেকশন কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। যাদের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। এ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশীদ মিনুর নিকট শ্রমিক না হয়েও শ্রমিক সংগঠনের সিলেকশন কমিতে কিভাবে ভোটার হলেন মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। কিছু জানার থাকলে জেলার সাধারণ সম্পাদকের নিকট জানেন।
সিলেকশন কমিটিতে নাম থাকা এক সংবাদকর্মী জানান, তিনি ওই সংগঠনের সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান। পরে স্থানীয় শ্রমিকদের অনুরোধে তারা ভোটার হন।
টাঙ্গাইল জেলা নির্মাণ শ্রমিক প্রকৌশল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুণ অর রশীদের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য,আগামি ২২ তারিখ শনিবার ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।