আয়নাল হক রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করা হয়। ১৯৭৫ সালের এদিনে আধিপত্যবাদী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল। গতকাল (৭ই নভেম্বর ২০২৪)বৃহস্পতিবার দিবসটি উপলক্ষে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন দল কর্মসূচি পালন করে। বিএনপি’র কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১১টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে রৌমারী বিএনপির দলীয় কার্যালয় হতে খন্ড খন্ড মিছিল বেড় হয়ে উপজেলার প্র্ধান প্র্ধান সড়ক প্র্দক্ষিণ শেষে উপজেলা বিএনপির মিছিলটি রৌমারী শহীদ মিনার পাদদেশে উপস্থিত হয়ে ৭ নভেম্বর সংহতি বিপ্লব দিবস উপলক্ষে বক্তব্য রাখেন , আলহাজ্জ আজিজুর বহমান( সাবেক চেয়ারম্যান) সভাপতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল রৌমারী উপজেলা শাখা , মোস্তাফিজুর রহমান রনজু সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল রৌমারী উপজেলা শাখা, একই সাথে রৌমারী উপজেলা ষুবদলের আয়োজনে ও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মন্জুরুল ইসলাম( মুঞ্জ) ও সদস্য সচিব মশিউর রহমান পলাশের নেতৃত্ব একটি পৃথক বিশাল মিছিল উপজেলার প্র্ধান প্র্ধান সড়ক প্র্দক্ষিণ শেষে রৌমারী শাপলা চত্তরে সমবেত হয়ে পথ সভা করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন, মন্জুরুল ইসলাম আহবায়ক রৌমারী উপজেলা যুবদল,মশিউর রহমান পলাশ সদস্য সচিব রৌমারী উপজেলা যুবদলসহ সকল নেতৃত্ববৃন্ধ । বক্তব্যে বলেন,
দিবসটি উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে শোভাযাত্রা মাসব্যাপি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাণীতে তারেক রহমান বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের অভূতপূর্ব অঙ্গীকার করেন । তাই ৭ই নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত। স্বাধীনতাত্তোর রাষ্ট্রীয় অনাচার, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, তৎকালীন ক্ষমতাসীন মহল নিজ স্বার্থে জাতীয় স্বাধীনতাকে বিপন্ন ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে আধিপত্যবাদের থাবার মধ্যে দেশকে ঠেলে দেয়। শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্যই গণতন্ত্রবিনাশী কর্মকাণ্ড শুরু করে। সেজন্য মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যার মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। শুরু হয় নির্মম একদলীয় দুঃশাসন। দেশে নেমে আসে অশান্তি ও হতাশার কালো ছায়া। বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকারগুলোকে হরণ করে।
তাই ৭ই নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের পথচলাকে অবারিত এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি।