মো: সাদ্দাম হোসেন ইকবাল, ঝিকরগাছা উপজেলা প্রতিনিধি।
কপোতাক্ষ নদ ”কপোতাক্ষ নদের উৎপত্তিস্থল চুয়াডাঙ্গার আথাভাঙ্গায়, নদটি যশোরের চৌগাছা, ঝিকরগাছা, মনিরামপুর, কেশবপুর উপজেলা হয়ে সাতক্ষীরার মধ্যো দিয়ে দক্ষিনে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। কালের পরিক্রমায় কপোতাক্ষ নদ’টি মরাখালে পরিণত হয়েছে। তবে কপোতাক্ষ নদে জোয়ার ভাটা ফেরাতে ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা ও কেশবপুরের অংশের খনন কাজ এবং যশোরের চৌগাছার তাহেরপুর ব্রিজ থেকে মনিরামপুর উপজেলার খোরদোঘাট পর্যন্ত প্রায় ৭৯ কিলোমিটার খনন কাজও শেষ হয়েছে, কিন্তু যেভাবে খনন’কাজ শেষ হয়েছে বা হচ্ছে তাতে সন্তুষ্ট নন নদীপাড়ের মানুষেরা।
স্থানীয় ও নদী’পাড়ের মানুষ’দের অভিযোগ অতিতে যে নদী ছিলো সে নদী অনুযায়ী খনন’কাজ হচ্ছে না! যেভাবে নদী’টি খনন হচ্ছে এবং নদীর দু’পাশে জায়গা ফেলে রাখা হচ্ছে.. পরবর্তীতে এই জায়গাগুলি অবৈধ দখলদারের হাতে চলে’যাবে! বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি বা হচ্ছে’না। কাজ চলোমান অবস্থাতে কাজের সাইডে কখনো কোন ঠিকাদার আসেনা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তা কর্মচারীও আসে’না। এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে বলতে গেলে তাদের অসৎ আচরণ ও বাজে ব্যবহার করে আমাদের সাথে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দাবি নদীকে পুনর্জীবিত করতে সঠিক নিয়মেই চলছে খননের কাজ। নদীটাকে বাঁচাতে যতটুকু সেকশন দরকার সে অনুযায়ী আমরা খনন করবো এবং অনুমোদিত ডিজাইনের বাইরে কেউ যেতে পারবে’না, অনুমোদিত ডিজাইনের বাইরে আমরা যাবো’না সে’বিষয়ে আমাদের নজরদারিতা আছে সর্বক্ষণ।তবে স্থানীয় ও নদীপাড়ের মানুষেরা খনন কাজের ধরণ ও কার্যকলাপের না’না অনিয়ম ও অভিযোগ উত্তোলন করে আসছে, সেই সাথে খনন কাজকে সাধুবাদ জানিয়ে ”তাদের দাবি হলো খনন করে নদীটির আগের রুপে ফিরিয়ে আনতে হবে।