মোঃ আয়নাল হক রৌমারী (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের কুটিরচর গ্রামের চরাঞ্চল মানুষের স্বাস্থ্য সেবার মান নিশ্চিত করতে চর বন্দবেড়ে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। কিন্তুু দীর্ঘদিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবণটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় কর্তৃপক্ষ পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেন। এবং জঙ্গলে ভরে গেছে ক্লিনিক প্রাঙ্গণ। গ্রামবাসীরা দিনের বেলাও ক্লিনিকের ভিতর উঁকি দিতে ভয় পান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুটিরচর, খাঁ পাড়া, গোয়ালের চর, পশ্চিম খনজনমাড়া, চর বাঘমারা, ফলুয়ারচরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম মিলে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বাসবাস। বর্তমানে ভবন না থাকায় সাধারন মানুষকে সঠিক ভাবে সেবা দিতে পারছেনা চর বন্দবেড় কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বরত সিএইচসিপি সদস্য। দীর্ঘ ৩ বছর থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ভবনটি। কোনো মতে পাশে সাবেক চেয়ারমান ও সভাপতির বাড়িতে চিকিৎসেবা দিয়ে আসছেন সিএইচসিপি সদস্য আনোয়ার হোসেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, এই ভবনটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পূর্বে আমরা যে ভাবে সেবা পেয়েছি বর্তমানে তা পাচ্ছি না। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই দ্রুত চরাঞ্চল মানুষের কথা ভেবে ভবনটি পূর্ন নিমার্ন করে দেওয়া হোক।
কুটিরচর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার ক্লিনিকের অবস্থা খুবই খারাপ। জনগনকে সঠিক ভাবে সেবা দিতে পারছিনা কারন ভবন নেই। বর্তমানে অন্যেরও বাড়িতে সেবার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। সরকারের কাছে দাবি অতি তাড়াতাড়ি একটা ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হোক ।
বন্দবেড় ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আক্কাস আলী বলেন, এই ক্লিনিকটি ঝুঁকি পূর্ন অবস্থায় পড়ে আছে। যাতে করে অতি তাড়াতাড়ি জনগনের সেবা প্রদান করা যায় সরকারের কাছে জোরালো অনুরোধ করছি।
বন্দবেড় ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, আমাদের ক্লিনিকটা দীর্ঘদিন থেকে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করার পরও এখন পর্যন্ত কোনো উন্নয়ন হয়নি। জনগনের কথা ভেবে ক্লিনিকটি দ্রুত নিমার্নের দাবি জানাই।
রৌমারী উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোঃ আব্দুস সামাদ জানান, আমরা ক্লিনিকটির বিষয়টি আবগত আছি। এনিয়ে একাধীকবার কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরাও আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি করবো প্রান্তিক জনগনের কথা ভেবে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক।